ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস মন্ত্রীদের নেই: রিজভী

প্রকাশনার সময়: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সীমান্ত চুক্তির পরেও বাংলাদেশীদের হত্যা করছে ভারতের বিএসএফ। প্রতিদিন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কিন্তু শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিবাদ তো দূরে থাক, একটু মাথা উঁচু করে কথাও বলতে পারে না।’

এসময় ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পার্শ্ববর্তী দেশের প্রত্যেকটি আবদারই পূরণ করতে হয়’ মন্তব্য করে রিজভী প্রশ্ন তুলে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি কি পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে? সব দিয়েছেন কিন্তু ন্যায্য যে অধিকার তিস্তার পানি গঙ্গার পানি সেটাও আপনি পাননি। তারপরও এতো নতজানু কেন?

শনিবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না, গলা তুলে কথা বলতে পারেন না! কিন্তু সাইফুল আলম নিরবরা কারাগারে থাকবে, যারাই আপনার গণতন্ত্রহীনতার, বাক স্বাধীনতার এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলবে, তাদের ঠিকানা হবে কারাগার? কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী দেশ প্রতিনিয়ত ছোট করছে আমাদেরকে, উইপোকার সঙ্গে তুলনা করছে। প্রধানমন্ত্রী তার কোনো প্রতিবাদ করতে পারে না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নিশ্চুপ আচরণের কারণ তিনি একটি ডামি সরকার। তিনি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পান। জনগণের ভোটকে ভয় পান। এ কারণেই তাকে একটি শক্ত খুঁটির সাথে বেঁধে থাকতে হয়। তার সেই শক্ত খুঁটি হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই শক্ত খুঁটি (ভারতের) কারণে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে ত্যাজ্য করেছেন, ভোটারদের ত্যাজ্য করেছেন, গণতন্ত্রকে ত্যাজ্য করেছেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ত্যাজ্য করেছেন। তিনি এক বেআইনি অবৈধ সরকার। দেশের সমস্ত বিরোধীদল, সমস্ত গণতন্ত্রকারী মানুষকে কারাগারে ঢুকিয়ে রেখে তিনি সম্রাজ্ঞীর মতো দেশ শাসন করতে চাচ্ছেন। জনশূন্য, ভোটার শূন্য, গণতন্ত্র শূন্য এমন একটি নির্দয় ফ্যাসিবাদী শাসন তিনি কায়েম করতে চান।

রিজভী বলেন, গোটা জাতির যিনি প্রতীক, যিনি এ দেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, নিজের জীবনকে বিপন্ন করে তিনি আজও বন্দী। কোনো কারণ ছাড়াই, শুধুমাত্র শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার কারণে।

প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সরকারকে আপনি কি বলেছিলেন? আপনি বলেছিলেন আপনার আন্দোলনের ফসল! সেই সরকার আপনার নামে ১৫টি মামলা দিয়েছিল। ওই মামলাগুলো এখন গেল কোথায়? সেই মামলাগুলো কি হাওয়া হয়ে উড়ে গেল? ওই মামলাগুলোতে যদি আপনার প্রত্যেকটিতে সাজা হতো, মিনিমাম ২০০ বছর হতো, যদি দেশে ন্যায় বিচার থাকতো। কিন্তু আপনার ক্ষমতার কারণে, আপনি আদালতের মালিক, প্রশাসনের মালিক, আপনি পুলিশের মালিক, আপনি কারাগারের মালিক! আপনি যখন যাকে ইচ্ছা তাকে আটকে রাখতে পারেন, মামলা দিয়ে প্রহসনের বিচার করতে পারেন! সেই প্রহসনের বিচারে আমাদের প্রিয় নেত্রী আজ বন্দী। কারণ তিনি তার পথের কাঁটা পরিষ্কার রাখতে চান।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার ভারতের সাথে এতো প্রেম, এতো মহব্বত! অথচ ব্রিকস সম্মেলনের সদস্য হওয়ার জন্য ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে কোনো কথাই বলেনি। মানুষ এটাও মনে করে যে, ভারত কথা বললেই বাংলাদেশ সদস্য হতে পারতো। শুধু অপমান এবং লাঞ্ছনা ছাড়া আপনি কি পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী?

যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মুর্তাজুল করিম বাদরুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ