ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রশাসনিক চাঁদাবাজিতে ডুবতে বসেছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা: এবি পার্টি

প্রকাশনার সময়: ০৬ মার্চ ২০২৪, ২০:৩১

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি ও হয়রানিতে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ডুবতে বসেছে বলে মন্তব্য করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

বুধবার (৬ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘বার বার অগ্নি দুর্ঘটনায় গণমৃত্যু, সরকারের দায় ও মানুষের জীবন নিয়ে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বহীনতার প্রতিবাদে’ এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা এ মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রমের ২০২২ ও ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সারা দেশে এই দুই বছরে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৬৩টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগের ১৪ মাস ১০ দিনে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন ১৪৫ জন। ২০২২ সালে সারা দেশে ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৩৪২ কোটি টাকার বেশি সম্পদ পুড়েছে। এর আগের বছর ২১ হাজার ৬০১টি অগ্নিকাণ্ডে ২১৮ কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে যায়। আর ২০২০ সালে সারাদেশে ২১ হাজার ৭৩টি আগুনের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ২৪৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডে ঢাকাকে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর হিসেবে ঘোষণা করার পরেও সরকার ও সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর টনক নড়ছে না। এর মূল কারণ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও সরকারদলীয় বাহিনীর চাঁদাবাজি।

এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, যেকোনো রেস্টুরেন্ট চালাতে দশটি সংস্থার অনুমোদন লাগে। বছর বছর ধরে ঢাকার রেস্টুরেন্ট চলছে এই সংস্থাগুলোর কোন ভূমিকা নাই, একটা দুর্ঘটনা ঘটার পর এক সংস্থা আরেক সংস্থার উপর দায় চাপিয়ে নিজেরা বাঁচার চেষ্টা চলছে।

অগ্নিকাণ্ডে মানুষ মরছে, মরার পর আমরা শুনতে পাই মৃত, আহত ব্যক্তিদের খবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। এটি জনগণের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর এখন প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা বাদ দিয়ে নিরপরাধ সাধারণ রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সাউন্ড গ্রেনেড কিনতে পারেন অথচ ফায়ার বল কিনতে পারেন না। এই ধরনের অনিয়ম নিয়ে একটি জাতি চলতে পারে না। অবিলম্বে ফায়ার সার্ভিসকে সকল যন্ত্রপাতি দিয়ে সক্ষম করে গড়তে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সমূহের সমন্বয়ে একটা রিভিউ কমিটির মাধ্যমে সকল ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো পর্যবেক্ষণ করে একমাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনাসমূহ ভেঙ্গে ফেলতে হবে।

এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান প্রমুখ।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ