মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সাইফুল হক বলেন, ‘পূর্ব-পশ্চিম দুদিকেই দেশের সীমান্ত অরক্ষিত। সরকার সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে পারছে না। মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তুলছে। সরকার দেশকে পরাশক্তিগুলোর লীলাভূমিতে পরিণত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের ডামি সরকার দিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা যাবে না। বিদেশিদের কুটনৈতিক শিষ্টাচারের সার্টিফিকেট দিয়েও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। আওয়ামী লীগ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। দেশ অনিবার্য বিপর্যয়ে পড়েছে।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ, মাফিয়া ও সন্ত্রাসীরা সরকার ও সরকারি দলকে খেয়ে ফেলেছে। মুনাফাখোর সিন্ডিকেট বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই। সরকার দেশের মানুষকে মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিরোধীদল ও তাদের আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার ক্ষমতা নেই সরকারের। বিরোধী দলের হাজার-হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, মীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম, মীর রেজাউল আলম, পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক জামাল সিকদার প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড, বিজয়নগর ও সেগুনবাগিচা হয়ে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
নয়াশতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ