সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, দুদক কি শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য? যারা হলফনামা দিয়েছেন এমপি হবার পূর্বে। দুদক কি চোখে কালো পতাকা দিয়ে রেখেছেন?
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নিশি রাতের নির্বাচনের পরে কত লক্ষ কোটি টাকা রুজি করেছেন- তা এমপিদের হলফনামায় ও পত্রিকায় লেখা হয়েছে। তাহলে দুদক শুধু কি বিএনপির জন্য? দুদক শুধু কি তারেক রহমানের জন্য? জেলখানা কি শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য?
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বিএনপির কুমিল্লার কান্দিরপাড় কার্যালয়ের সামনে কালোপতাকা মিছিল শুরুর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
এসময় জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এই নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো নির্বাচন মেনে নেয়নি। ২০১৪ সালে অটোপাশ করেছেন। ২০১৮ সালে নিশি রাতে নির্বাচন করেছেন। ২০২৪ সালে ভাইয়ে ভাইয়ে নির্বাচন করে আবারো বাংলাদেশের মানুষকে লুটেপুটে খাবেন। আবারো বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা করবেন, মামলা দিয়ে জেলে পুরবেন। এটা সহ্য করা হবে না। তাই ৩০ তারিখ যে সংসদ বসবে, বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
নির্বাচন কমিশনকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনি জনগণের ২ হাজার কোটি টাকা নষ্ট করেছেন। নির্বাচন হয়েছে? বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম শুনলাম ৬০০ জন এমপি। ৩০০ জন ১০ জানুয়ারি শপথ নিয়েছে। আর ৩০০ নাকি ৩০ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ আছে। যারা কিনা ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে মৃত ব্যক্তির ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৪ সালে নির্বাচিত হয়েছেন নাবালক শিশুর ভোটে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লার এই কালো পতাকা মিছিলে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারেক মুন্সী প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ