ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কাউকে শান্তিতে রাখেনি আওয়ামী সরকার: বিএনপি

প্রকাশনার সময়: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১

স্বভূমির সীমানায় আওয়ামী সরকার কাউকে শান্তিতে রাখেনি বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা। দলটির নেতারা বলেছেন, নাগরিকদের জীবনের চেয়ে দখলদার আওয়ামী মন্ত্রীদের ক্ষমতা খুব জরুরি। দেশবাসীকে পরাধীন রেখে ক্ষমতা ভোগ করাই আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শ।

সেই সঙ্গে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যকে হত্যার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে দলটি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এসব কথা বলেন নেতারা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক এবং সীমান্তরক্ষীদের প্রাণ সংহার করা হচ্ছে। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হলেও তাদের নীতি নির্ধারকদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গভীরতা অর্জিত হয়নি। সেজন্যই বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনি হত্যাকাণ্ডে তারা কোনও দায়বোধ করে না। কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর হৃদয়বিদারক লাশের দৃশ্য দেখে বাংলাদেশের মানুষের মনে এখনও ক্ষোভের আগুন জ্বলছে।

নেতারা বলেন, পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সবচেয়ে সহিংস ও রক্তস্নাত। ভারত বারবার প্রতিশ্রতি দিলেও বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দ্বারা বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির পক্ষে থেকে বলা হয়, গত ২১ জানুয়ারি ভোরে যশোর সীমান্তের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইশুদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে। প্রতিনিয়তই প্রাণহানির সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে গণমাধ্যমে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে গত ৭ বছরে ২০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

সিপাহী মোহাম্মদ রইশুদ্দিনকে হত্যার পর বিএসএফের পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য বলেও মনে করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ