জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে মহানগর উত্তরের ৯টি থানার ৬৬৮ জন নেতাকর্মী গণপদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে গণপদত্যাগ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান দলত্যাগী নেতাকর্মীরা।
জাতীয় পার্টির মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছিল নির্বাচনের আগে থেকেই। ভোটে বিপর্যের পর দলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ বেশকয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে। এবার চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে গণপদত্যাগ করলেন মহানগর উত্তরের ৮টি থানার সাড়ে ৬০০’র বেশি নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে ভাইস-চেয়ারম্যান, যুগ্ম সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও রয়েছেন।
মাঠপর্যায়ের এসব নেতাকর্মী ক্ষোভ ঝাড়লেন শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে হঠকারিতার অভিযোগে পদত্যাগ করেন কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও। তাদের দাবি, জাতীয় পার্টির অস্তিত্বই বিলীন করে দিচ্ছেন জি এম কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ও সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ অন্যান্যরা।
মহানগর উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক বলেন, দল চালানোর সক্ষমতা জি এম কাদেরের নেই। জাতীয় পার্টিতে গণপদত্যাগ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৯টি থানার ৬৬৮ জন গণপদত্যাগ করেছেন। থানাগুলো হলো- রূপনগর, বাড্ডা, দারুস সালাম, মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাতিরঝিল, মিরপুর, পল্লবী ও শেরেবাংলা নগর।
না শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ