বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ বহুদলীয় গণতন্ত্রকে বাকশালে পরিণত করে, আর বিএনপি বাকশালকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে রূপান্তরিত করে। এটাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রভেদ।
রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মিথ্যাচার দিয়ে একটি দেশের নেতা হওয়া যায় না, রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের সত্যিকার ইতিহাসকে কেউ মুছে দিতে পারবে না। যতোই উপন্যাস লেখা হোক না কেন। আওয়ামী লীগ দাবি করে, তারা নাকি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি! কিন্তু তাদের ভূমিকা কি ছিল- সেটা সবার জানা। সেদিন আওয়ামী লীগ দায়িত্ব পালন করেনি। সবাই পলায়ন করেছিল।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সবার মুখে মুখে ছিল সিক্সটিন ডিভিশন। সিক্সটিন ডিভিশন হলো- যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। তারা বিজয়ের পর বাংলাদেশে যুদ্ধ করেছিল। এই সিক্সটিন ডিভিশন পরিচালনা করছে সরকার।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষক, সেটি তো আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র তার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার সময় চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কিন্তু আওয়ামী লীগেরও অনেকে ছিলেন। কেউ কিন্তু এই ঘোষণা দেওয়ার সাহস পাননি। তিনিই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
কোনো লোভ জিয়াউর রহমানকে স্পর্শ করতে পারেনি জানিয়ে মঈন খান বলেন, যে উন্নয়নে কথা এ সরকার বলে, সে উন্নয়ন তো শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুরু করেন। রেমিটেন্স, গার্মেন্টস শিল্প তিনি প্রথম চালু করেন। মুক্তবাজার অর্থনীতির কল্যাণে তিনি স্থিতিশীল করেছিলেন দেশকে। তলাবিহীন ঝুড়ির দেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। স্বাধীনতার পর এদেশে একটি দাঙ্গা হয়েছিল, সেদিন প্রত্যেক বর্ণের, গোষ্ঠীর মানুষকে তিনি পরিচয় দেন জাতীয়তাবাদ। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে অবিস্মরণীয়।
এসময় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বহুদলীয় গণতন্ত্রকে বাকশালে পরিণত করে আর বিএনপি বাকশালকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে রূপান্তরিত করে। এটাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রভেদ’।
মঈন খান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের ভেতরে যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল, সেটি নিরসনেও কাজ করে গেছেন জিয়াউর রহমান। সেই ‘রাখাল রাজার’ জানাজায় যত মানুষ হয়েছিল, পৃথিবীতে আর কারো জানাজায় এতো লোক এখনও পর্যন্ত হয়নি।
‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনে এই সরকার পরাজিত হয়েছে’ মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, তাদের (সরকার) পায়ের নিচে মাটি নেই। অনেকে বলে, এই সরকার কি আরও ৫ বছর থাকবে? তখন আমি বলি, স্বৈরাচার এরশাদ চলে যাওয়ার আগেও কি কেউ জেনেছিল, সে চলে যাবে? তিনিও গেছেন! আমি বলতে চাই, এই সরকার শূন্যের ওপর টিকে আছে। এদের পায়ের নিচে মাটি নেই।
নয়া শতাব্দী/এনএস/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ