সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লেবুখালী সেতু খুব শ্রিঘ্রই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এ সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী মাসে এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে আশাকরি। পায়রা বা লেবুখালি সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আরেকটি পদ্মা সেতুর মতো।
বোধবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ ভবনের তৃতীয় তলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি জানান, পিরোজপুরের বেকুটিয়া সেতু ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া নলুয়া-বাহেরচর সেতু একনেকে পাশ হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার সংস্কৃতি শুরু করতে হবে। কাজের মান ঠিক রেখে কাজগুলো গতিসম্পন্ন করতে হবে।
এরপর মন্ত্রী বরিশাল বিভাগে ৮৩ কোটি ২৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মিত ১১ টি সেতুর উদ্বোধন ঘোষনা করেন। এসব সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৯১ দশমিক ৭৩৮ মিটার।
সেতুগুলো হলো বরিশালের রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদী-হিজলা সড়কের ২৮ দশমিক ৭৮ মিটার দৈর্ঘ্যের বাবুগঞ্জ সেতু, ৩১ দশমিক ৮২৮ দৈর্ঘ্যের খাশেরহাট সেতু, ৩১ দশমিক ৮২৮ মিটার দৈঘ্যের নবাবের হাট সেতু, ৩১ দশমিক ৮২৮ মিটার দৈঘ্যের কাউরিয়া সেতু, ২৫ দশমিক ৭৪ মিটার দৈর্ঘ্যের খাশেরহাট সেতু। ঝালকাঠির বরিশাল-ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪৪ দশমিক ০২ মিটার দৈর্ঘ্যের গুরুধাম সেতু, কাঠালিয়া (বান্দাঘাটা)-কৈখালী-বনাইহাট সড়কের ৬৯ দশমিক ৮৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের তফসের খেয়াঘাট সেতু। ভোলার পারানতালুকদারহাট-বোরহানউদ্দিন-লালমোহন-চরফ্যাশন-চরমানিকা আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৪ দশমিক ০২ মিটার দৈর্ঘ্যের বাংলার জার সেতু। দেবীরচর-নাজিরপুর-লালমোহন-মঙ্গলসিকদার-তজুমুদ্দিন আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৪ দশমিক ০২ মিটার দৈর্ঘ্যের দেবীরচর সেতু। পিরোজপুর জেলার চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কে ৬৩ দশমিক ৭৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের হেতালিয়া সেতু, চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের ৭৫ দশমিক ৯৭৮ মিটার দৈর্ঘ্যের মাদারসী সেতু।
অনুষ্ঠানে বরিশাল প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তারেক ইকবাল, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথসহ প্রকৌশলীবৃন্দ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধাান প্রকৌশলী তারেক ইকবাল বলেন, বরিশাল বিভাগের ৪ টি জেলার ১১ টি আজ মন্ত্রী মহোদয় উদ্বোধন করেছেন। এ সেতুগুলোর প্রতিটির স্থলে স্টিলের বেইলি ব্রীজ ছিলো, যা যানবাহন চলাচলের জন্য ঝুকিপূর্ণ ছিলো। ব্রীজ চালুর মাধ্যমে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হলো। এ বছরও আমরা তিনটি সেতু রিপলেসমেন্ট করার কাজ হাতে নিয়েছি। চিন্তাভাবনা রয়েছে আগামীতে একটি বড় প্রকল্পের মাধ্যমে সকল বেইলি ও ঝুকিপূর্ণ সেতু রিপ্লেস করার।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ