ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইইউ দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চেয়েছে : কাদের

প্রকাশনার সময়: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:০২
ছবি- সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল। সেখানে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চেয়েছে ইইউ দল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের সাথে ক্ষমতাসীন দলটির এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডেভিড ওয়ার্ন। আওয়ামী লীগ থেকে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ইইউ দল বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চেয়েছে। কথা হয়েছে বিএনপির নির্বাচন পন্ডের সহিংসতা নিয়েও। বিএনপি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জবাব দিচ্ছে সহিংসতা করে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল আমাদের আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শুনেছেন। বাংলাদেশের বাস্তবতা এই নির্বাচনটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনটা আমাদের করতে হয়েছে। ২৭ টার মতো দল আছে, এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। এসব বিষয় তারা পজিটিভ নিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা আমাদের ইলেকশনকে সামনে রেখে তাদের প্রদত্ত যে দায়িত্ব সেটা পালন করছেন। তারা আমাদের কথাই বেশি শুনতে আগ্রহী ছিলেন। মন্তব্য তারা তেমন করতে চাননি। আমরাও ইনসিস্ট করিনি। আমরা আমাদের ইলেকশন নিয়ে কথা বলেছি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভয়ভীতি এসব আছে। তারপরও আমরা বলেছি ভোটের টার্ন আউট সন্তোষজনক হবে। মানুষের আগ্রহ আছে। সারাদেশের ভোটারদের মধ্যে যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে করে টান আউট নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই। বিএনপি একটি বড় দল, টার্ন আউট নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশের স্ট্যান্ডার্ড বজায় থাকবে সেটাই আমরা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, সহিংসতা নিয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, ভায়োলেন্স তো হচ্ছে। পিসফুল নির্বাচনের জবাব দিচ্ছে ভায়োলেন্স দিয়ে। পাঁচ বছর পরপর ইলেকশন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, এটাই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) আসলে মাথাব্যথা ইউক্রেন নিয়ে, গাজা-ইজরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে। কাজেই শক্তিধররা বেশি ঘামাচ্ছেন এসব নিয়ে। কঙ্গোতে একটা ইলেকশন হয়েছে, কারও সেঙ্গে কারও যোগাযোগ নেই। ফলাফল হয়ে গেছে। পাকিস্তান ভালো ডেমোক্রেসির উদাহরণ, এটা কেউ বলবে না। তিনি আরও বলেন, তাদের কোনো কনসার্ন নাই। ইলেকশন নিয়ে প্রস্তুতি কী জানতে চেয়েছে। কনসার্স থাকলেও সেটা তাদের মনে আছে।

নয়া শতাব্দী/এমবি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ