ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচনকে স্বচ্ছ করার জন্য যা যা দরকার আমরা করেছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশনার সময়: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০০ | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হরতাল-অবরোধ ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ করার জন্য যা যা দরকার আমরা সেগুলো করেছি।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসক সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে কোনো অফিসার বদলি করা, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি, এগুলো নির্বাচন কমিশনারের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না।

যদি নির্বাচন কমিশন চায় তখন সেটা পরিবর্তন করা যায়, তাছাড়া করা যাবে না। তিনি বলেন, জাতির পিতা যে সংবিধান দিয়েছিলেন এবং নির্বাচনে যে নীতিমালা দিয়েছিলেন, সেখানে একটা বিষয় ছিল যে, ব্যালট পেপারের পেছনে প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকবে, জিয়াউর রহমান নির্বাচনের আগে অর্ডিন্যান্স করে তা সবকিছু বাতিল করে দেয়। অর্থাৎ বাক্স ভরে ভরে রেখে দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি...।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই বিভিন্ন সংস্কার করেছে। যাতে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়। জনগণ তার ভোট দিতে পারে, যাতে জনগণ তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আমরাই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করা, সেগুলো আওয়ামী লীগই করেছে। আমরা জোট করে বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে এসে, একে একে তা বাস্তবায়ন করেছি।

সভায় রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সংসদীয় আসনগুলোর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। টানা তিনদিন চলবে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভা। আজকের পর ধাপে ধাপে বাকি বিভাগগুলোর প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।

বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ক্ষমতা দখলকারীরা উর্দি খুলে হঠাৎ রাজনীতিবিদ হয়ে যায়। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই সংবিধান স্থগিত করে মার্শাল ল জারি করে। হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করে। সে সময় ভোটের না বাক্স খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তারা গণতন্ত্রের নামে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে।

শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, আজ আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশ কথা বললেও যখন মিলিটারি ডিক্টেটররা মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছিল তখন তাদের চেতনা কোথায় ছিল? তিনি বলেন, ভোটচুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ পদত্যাগ করতে হয়েছে।

এসময় নিজের সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, একসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে আওয়ামী লীগ সরকার আইন করে দিয়েছে। এতে ৮২টি সংশোধনী এনে অবাধ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী করা হয়। সেই আইনের অধীনে এখন দেশে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।

নয়াশতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ