হুইসেল বাজালেই আন্দোলনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে- বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্য হাস্যকর বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির হুইসেলে মানুষ আন্দোলনে নামবে না। কারণ বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেরাই মারামারি করে নিজেদের অনুষ্ঠান পণ্ড করে।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষ মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলদের ওপর উনার দলের কর্মীদেরই আস্থা নেই। দলের কর্মীদের দ্বারাই বিএনপি নেতারা সমালোচিত। যে দলের এমন অবস্থা, সে দলের মহাসচিবের হুইসেলে আন্দোলনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ার বক্তব্য হাস্যকর। বিএনপি কোনো অনুষ্ঠান করতে গেলে নিজেরাই মারামারি করে তা পণ্ড করে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রটি আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কালুরঘাটে যে ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন, সে ট্রান্সমিটারটি চট্টগ্রামের পুরোনো সার্কিট হাউসে রয়েছে। এটি কালুরঘাট বেতারের ট্রান্সমিশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কালুরঘাটে একটা ছোট জাদুঘর করা হবে। যেখান থেকে এ ট্রান্সমিটার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছিল, সেখানেই সেটি থাকা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশ বেতারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ট্রান্সমিটার স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের বেতার কেন্দ্র ঐতিহাসিক। কারণ, এখান থেকেই ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। পরে ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করানোর জন্য মেজর জিয়াউর রহমানকে খুঁজে এনে তাকে দিয়ে আবার পাঠ করিয়েছিলেন।
মতবিনিময় সভায় বেতারের আবাসিক প্রকৌশলী নিত্যপ্রকাশ বিশ্বাস, আঞ্চলিক পরিচালক এসএম মোস্তফা সরোয়ার ও উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ