ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

যাত্রীশূন্য মহাখালীর বাস টার্মিনাল

প্রকাশনার সময়: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৫

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চতুর্থ দফার অবরোধের শেষ দিনেও রাজধানী মহাখালীর বাস টার্মিনাল যাত্রীশূন্য। লোকসান ঠেকাতে কিছু কোম্পানি যাত্রাপথে যাত্রীর দেখা পাবেন এ আশায় খালি গাড়ি নিয়েই টার্মিনাল ছাড়ছে।

সরেজমিনে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে। কর্মব্যস্ত ও কোলাহলপূর্ণ মহাখালী বাস টার্মিনালে লোকজন খুবই কম। নেই তেমন হাঁক-ডাক। শ্রমিকরা অনেকেই এখনো বাসেই ঘুমিয়ে আছেন। যারা উঠেছেন তারাও ঘুরে ফিরে অলস সময় পার করছেন। আর কিছু কিছু দূরপাল্লার বাস টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। এমন অবস্থায় নিজেদের খাওয়া খরচ মেটাতেও ঋণ করা লাগছে বলে জানান পরিবহন শ্রমিক ও স্টাফরা।

তারা বলছেন, যেখানে সকাল থেকেই ভরপুর যাত্রীর চাপে অনেক গাড়ি ছেড়ে যেত সেখানে মাত্র সাত-আটটি গাড়ি ছেড়েছে, তাও ফাঁকা। নিশ্চিত লোকসান জেনেও বের হতে হয়েছে। আর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে স্ট্যান্ডেও এসেছে পাঁচ-ছয়টি গাড়ি। এমন অবস্থায় দৈনিক বাস রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্টাফ শ্রমিকদের খাওয়া খরচ মালিকদের এবং শ্রমিকদের হিমশিম খাওয়াচ্ছে।

কলমাকান্দার মাস্টার এন্টারপ্রাইজের বাসচালক আরশ আলী বলেন, অবরোধ হরতাল ঘোষণা হলে এমনই হয়। মানুষজন ভয়ে ঘর থেকে বের হতে চান না। এখন ঋণ করে চলতে হচ্ছে। মালিক কিস্তি দিতে পারছেন না। কলমাকান্দা পর্যন্ত আপ-ডাউনে আমার ১২ হাজার টাকার তেল প্রয়োজন হয়। সঙ্গে তিনজন স্টাফ। সবমিলিয়ে যদি ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় না হয় তাহলেই লস হয়ে যায়। সেখানে ২-৩ জন যাত্রী নিয়ে বাস ছাড়ার মানেই হয় না। সকাল থেকে ছয় থেকে সাতটার মত গাড়ি বের হয়েছে, কিন্তু কোনো যাত্রী নাই। এখনো দেখতে পাচ্ছেন একেবারেই শূন্য। তবে নাইটে (গতরাতে) ২০ থেকে ২৫টা গাড়ি স্ট্যান্ডে আসছে আবার ছেড়েও গেছে দূরপাল্লার ২০টিরও বেশি গাড়ি।

যাত্রীশূন্যতায় বেশ বিপাকে পড়েছেন এই স্ট্যান্ডে কুলির কাজ করা অনেক মানুষজনও। আব্দুর রাজ্জাক নামের একজন বলেন, বাস টার্মিনালে আসা যাত্রীদের ব্যাগ-পত্র টেনে যে টাকা আয় হয় সেটা দিয়ে সংসার চলে। এখন পর্যন্ত ১০ জন যাত্রীও আসেনি। আমরা কীভাবে চলবো কীভাবে কি করব সেটিই বুঝতে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।

পানি বিক্রি করা আরিফুলও একই কথা বললেন। জানালেন, সকাল থেকে চার থেকে পাঁচ কেস পানি বিক্রি করা যেত। তবে এখন দুটি বোতলও বিক্রি হয়নি। দৈনিক খাবার খরচের টাকা জোগাড় করতেই কষ্ট হচ্ছে।

অপরদিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘিরে যে কোনো প্রকার নাশকতা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ