ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিজয়ের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে : ১২ দলীয় জোট

প্রকাশনার সময়: ১১ আগস্ট ২০২৩, ১৭:১২ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৫০

সরকারের পদত্যাগ এবং বিজয়ের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, অবিলম্বে বর্তমান সরকারকে বিদায় নিতে হবে। তাছাড়া দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণের ভোটের অধিকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। নির্দলীয় সরকার গঠন করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ। শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে এক গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

পরে ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি সংলগ্ন সড়ক থেকে এক গণমিছিল বের করে। গণমিছিল কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টির (জাফর) সভাপতি সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক এবং সার্বিকভাবে সমন্বয় ও সমাবেশ উপস্থাপনা করেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীম।

মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, দেশ এবং দুনিয়া দেখছে দেশের সিংহভাগ মানুষ শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও মিছিলের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চলবে।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, বিদেশিদের ওপর ভরসা করে হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো বাস্তব নয়। সবাইকে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আজকে দেশে ব্যাংক লুটপাট চলছে। সরকার অর্থনীতিতে ডাকাত ও চোর। দেশের ৬টি ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এদের তো ফাঁসি হওয়া উচিত। তাহলে আর পদত্যাগ করা লাগবে না। আমরা এই দাবি আদায় পর্যন্ত রাজপথে আছি এবং থাকব।

সমাবেশের জোটের অন্য নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পক্ষে সমগ্র জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। দেশবাসী আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অপরিহার্যতা অনুধাবন করতে পারছে। সবাই বলছে এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। এই সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পুরো দেশবাসী এবং দুনিয়াকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে হাসিনা সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিরোধী দলের উপর হামলা মামলা দমন-পীড়ন খুন গুম করে প্রতিপক্ষ নিধনে নিষ্ঠুরতম ভূমিকা পালন করেছে। জাতি অবিলম্বে এই ক্ষমতালিপ্সু অবৈধ সরকারের পদত্যাগ চায়। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে।

তারা বলেন, আজ প্রমাণিত সত্য যে, আওয়ামী সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন বা ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তারা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জনগণ আওয়ামী সরকারের এই দূরভিসন্ধি কিছুতেই বাস্তবায়ন হতে দেবে না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐকমত্য ধরে রেখে ১২ দলীয় জোট বিএনপি নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছা পর্যন্ত রাজপথে আছি এবং থাকব।

সমাবেশ ও গণমিছিলে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এর চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশেদ প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান ড. জাভেদ মো. সালেউদ্দিনসহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

নয়া শতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ