বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কোনও সুখবর নেই। আইএমএফকে খুশি রেখেই বাজেট প্রনয়ণ করা হয়েছে। বাজেট আশার পরিবর্তে হতাশা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। সেবা খাতে ভর্তুকি কমিয়ে বাজেটে প্রকৃত বরাদ্দ সংকুচিত করা হয়েছে। এই বাজেট দারিদ্র্য ও নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়াকে পরোক্ষভাবে আরও জোরদার করবে।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) পহেলা জুন নতুন অর্থ বছরের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আইএমএফকে আস্থায় নিতে শহর ও গ্রামের গরীবদের জন্য চলে আসা প্রকল্পসমূহে প্রদত্ত বরাদ্দ ও ভর্তুকিও কমিয়ে আনা হয়েছে। শর্ত পূরণে বাড়তি যে ৪৮ হাজার কোটি টাকা কর আদায় করতে হবে তাও দিতে হবে সাধারণ মানুষদেরকে। ৪৪টি সেবা পেতে নূন্যতম কর ২ হাজার টাকা গুণতে হবে তা রীতিমতো অত্যাচারের সামিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক দুঃসময়ে যে ধরনের সমতাধর্মী আশা জাগানিয়া বাজেট দরকার তা বাজেট প্রস্তাবনায় অনুপস্থিত। খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য কমবে কিনা ও জীবনযাত্রার অসহনীয় ব্যয়ভার কমবে কিনা বাজেটে এ রকম কোনও আশাবাদী প্রস্তাব নেই। মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে মানুষের প্রকৃত আয় বৃদ্ধি পাবে কিনা তারও নির্দেশনা নেই।’
সাইফুল হক বলেন, ‘বাজেটে রাজস্ব ব্যয়সহ অনুৎপাদনশীল ব্যয় কমিয়ে আনার কোনও প্রস্তাবনা নেই। তাছাড়া ঋণ করে ঘি খাওয়ার মাশুল দিতে যেয়ে বাজেটের টাকার এক বড় অংশ বেরিয়ে যাবে ঋণ ও সুদ পরিশোধ করতে। বাজেটের ২,৫৭,৮৮৫ কোটি টাকা ঘাটতি পূরণের আসল বোঝা শেষ পর্যন্ত বহন করতে হবে সাধারণ মানুষকে। করের আওতা বৃদ্ধি করে ও বিত্তবানদের উপর বর্ধিত কর আদায় করে রাজস্ব বৃদ্ধির দৃশ্যমান ও বিশ্বাসযোগ্য কোনও প্রস্তাবনা বাজেটে নেই।’
ক্ষোভের সাথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বন্ধ পাটকল ও চিনিকলসহ জাতীয় শিল্পের বিকাশ ও প্রকৃত উদ্যোক্তাদের জন্য বাজেটে নির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব নেই। শ্রমিকদের জন্য জাতীয় নূন্যতম মজুরি কমিশন ঘোষণা ও মহার্ঘ ভাতা চালুর ব্যাপারেও কোনও প্রস্তাব নেই। কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দও নিতান্ত অপ্রতুল। স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রী হবার জন্য নাগরিকদের যে অধিকার ও সক্ষমতা দরকার অর্থমন্ত্রী সে ব্যাপারেও কোনও আশাবাদ সৃষ্টি করতে পারেননি।’
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ