আয়ে আবারো ধস নেমেছে বিএনপির। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ঘাটতিতে দলটি। এবারো দলটির আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়েছে অর্ধকোটি টাকা। ফলে ঘাটতি থাকা টাকা আগের তহবিল থেকে জোগান দিয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া ২০২০ সালের আয়-ব্যয়ের বার্ষিক বিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপির আয় দেখিয়েছে এক কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৯ টাকা। এই সময়ে ব্যয় হয়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। ফলে ঘাটতি রয়েছে ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ টাকা। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলটির দফতরের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এই হিসাব নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ন কবির খোন্দকার এর হাতে জমা দেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সদস্যের চাঁদা, মনোনয়নপত্র বিক্রি, অনুদান, ব্যাংকের সুদ ইত্যাদি খাত থেকে ১ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৯ টাকা হিসাব বিবরণীতে আয় হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর দলের
কার্যালয়ে কর্মরত স্টাফদের বেতন-ভাতা, বিভিন্ন বিল পরিশোধ, পোস্টার ছাপানো, ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি বাবদ মোট ব্যয় দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। আয়ের বেশি ব্যয় দলের ব্যাংক হিসাবে সঞ্চিত অর্থ থেকে মেটানো হয়েছে। ২০১৯ সালে দলটির আয় হয়েছে ৮৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ব্যয় হয়েছে দুই কোটি ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এর আগে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে টানা তিন বছর দলের তহবিলে কয়েক কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ২০২০ সালের দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি। এ সময় নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, দেশে কোনো রাজনৈতিক পরিবেশ নেই। নির্বাচনের পরিবেশ নেই। সব জায়গায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিএনপি একটি নিবন্ধিত বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও দলের সব কর্মকা-ে সরকার বাধা প্রদান করছে। দলটি লাখ লাখ নেতাকর্মী প্রতিদিন মামলা হামলার শিকার হচ্ছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে নজর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে কোনো নির্বাচনের পরিবেশ নেই। আর আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের বিশ্বাস নেই। দেশে যদি অবাধ এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জন্য দিতে হয় তাহলে নতুন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করুন।
তিনি আরো বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণ নির্বাচনবিমুখ হয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি বিভিন্ন নির্বাচন বর্জন করছে। জনগণেরও এসব নির্বাচনের বিষয়ে আগ্রহ নাই। তাই এই নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরের আগে তাড়াহুড়ো করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার যে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে তা দুরভিসন্ধিমূলক ও এতে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ