ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জ্বালানি তেল সংক্রান্ত গুজব নিয়ে ব্যাখ্যা দিল জ্বালানি বিভাগ

প্রকাশনার সময়: ২৭ জুলাই ২০২২, ২১:১৩

জ্বালানি তেলের মজুত নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা তথ্যকে ‘অসত্য ও মনগড়া’ বলে অভিহিত করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। সরকারের এই দফতরটি বলছে, দেশে জ্বালানির তেলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আগামী ছয় মাসের জন্য প্রয়োজনীয় তেল আমদানির প্রক্রিয়াও পাইপলাইনে রয়েছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের মজুত নিয়ে এমন ব্যাখ্যা দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল জ্বালানি তেলের মজুত নিয়ে অসত্য ও মনগড়া তথ্য প্রচার করছে। এসব তথ্য সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে বলছি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীন কোম্পানিগুলোর ডিপোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। বর্তমানে দেশে জ্বালানি তেলের কোনো ঘাটতি বা সংকট নেই। সংকটের কোনো শঙ্কাও নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে মজুতের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, বুধবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত দেশে ডিজেলের মজুত রয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিকটন। দৈনিক গড় বিক্রির পরিমাণ ১৩ হাজার ৬০৭ মেট্রিক টন হিসেবে ডিজেলের ৩২ দিনের মজুত রয়েছে দেশে। এছাড়া জেট ফুয়েল মজুত রয়েছে ৪৪ দিনের, ফার্নেস তেলের মজুত রয়েছে ৩২ দিনের। এই হিসাব দেখিয়ে দেশে মজুত সক্ষমতা অনুযায়ী যথেষ্ট পরিমাণ জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।

জ্বালানি বিভাগের তথ্য বলছে, পেট্রোল পুরোটাই বাংলাদেশ উৎপাদন করে। অকটেনেরও প্রায় ৪০ ভাগ উৎপাদিত হয় দেশেই। এর মধ্যে অন্যদিকে আমদানি করতে হয় ডিজেল ও ফার্নেস তেল।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ বলছে, চলতি জুলাই মাসে ৯টি জাহাজে এরই মধ্যে ২ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, দুইটি জাহাজে প্রায় ৪৩ হাজার মেট্রিক টন জেট-এ-১, একটি জাহাজে ২৪ হাজার ৬৭৭ মেট্রিক টন অকটেন এবং দুইটি জাহাজে ৫৩ হাজার ৩৫৮ মেট্রিক টন ফার্নেস তেলে এসেছে দেশে। এছাড়া আগস্ট মাসে দেশে আটটি জাহাজে আসবে ২ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, একটি জাহাজে ২৫ হাজার মেট্রিক টন জেট-এ-১ এবং একটি জাহাজে আসবে ২৫ হাজার মেট্রিক টন অকটেন।

আগামী ছয় মাসের আমদানি পরিকল্পনা করা হয়েছে জানিয়ে জ্বালানি বিভাগ আরও বলছে, এর ৫০ শতাংশ আসবে জি-টু-জি তথা সরকারিভাবে এবং বাকি অর্ধেক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে, যার ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে জ্বালানি তেলের ঘাটতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।

তবে ঘাটতির শঙ্কা না থাকলেও বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের অস্থিরতা বিবেচনায় ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করা জ্বালানি তেল ব্যবহারে মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ