ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুই সিটিতে বসবে ১৭ অস্থায়ী হাট

প্রকাশনার সময়: ১১ মে ২০২২, ১০:৪৯

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীতে কোরবানির পশুর ১৭টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) বসবে ১০টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বসবে সাতটি পশুর হাট।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে এরই মধ্যে কতগুলো হাটের ইজারা দেয়া হবে তা প্রায় চূড়ান্ত। এই ১৭টি অস্থায়ী হাট বাদে ডিএনসিসি এলাকায় গাবতলী পশুর হাট ও ডিএসসিসি এলাকায় সারুলিয়া পশুর হাটেও কোরবানির পশু বেচাকেনা চলবে। তবে করোনা প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেলে কী ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে তা নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে দুই সিটি। পরিস্থিতি বিবেচনায় যে সিদ্ধান্ত আসবে সেই আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ডিএনসিসি এলাকায় ডিজিটাল পশুর হাটও চালু থাকবে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক জানান, পশুর হাটে কী ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে আমরা এমন কোনো নির্দেশনা এখনো দেইনি। কোরবানির ঈদ আসতে এখনো বেশ কিছু সময় বাকী রয়েছে, এ সময়ের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি এবং সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম ঠিক করা হবে।

তিনি বলেন, ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবার ঢাকা উত্তর এলাকায় সাতটি অস্থায়ী ও একটি স্থায়ী হাট বসানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএনসিসির অধীন হাটগুলো হলো- গাবতলী (স্থায়ী), বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই, এফ জি এইচ পর্যন্ত এলাকার খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অবস্থিত বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদনগর) পশুর হাট, কাওলা শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ ফিট সড়কসংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল ও যমুনা হাউজিং কোম্পানির এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীনের খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুর বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গা।

চালু থাকবে ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি বিবেচনায় ফের অনলাইন হাটকে বেশি প্রাধান্য দিতে পারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সে লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো তারা কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট চালু করবে। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাটে ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন। ডিএনসিসি জানিয়েছে, পশু ক্রয়-বিক্রয়ের নিয়ম ঠিক করে দেয়া হবে। এতে পশু বিক্রির কী কী নিয়ম মানতে হবে, কী কী তথ্য থাকবে তা উল্লেখ করে দেয়া হবে। তবে এ প্ল্যাটফরমে ই-ক্যাব এবং বিডিএফএর অনুমোদিত সদস্যের প্রতিষ্ঠানই কেবল অংশ নিতে পারবে। এছাড়া জেলা প্রশাসকদের অনুমোদিত বিক্রেতারা তাদের পশু বিক্রি করতে পারবেন। ক্রেতার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ ধরনের রক্ষণশীল কৌশল রাখা হয়েছে।

অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় একটি স্থায়ীসহ ১১টি পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এবার ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ মনে করলে হাটের সংখ্যা কমতেও পারে, আবার বাড়তেও পারে। এর বাইরে সারুলিয়া (স্থায়ী) হাটটিতেও পশু বিক্রি হবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আমাদের কিছু নির্দেশনা রয়েছে। এর বাইরে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা এলে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে। ডিএসসিসি এলাকায় পশুর অস্থায়ী হাটগুলো হলো—মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগ এলাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ডসংলগ্ন খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা ও কলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা এবং পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। এর বাইরে সারুলিয়া স্থায়ী হাটটিতে পশু কেনাবেচার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত বছর করোনা মহামারিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে ঈদুল আযহা উপলক্ষে ২৩টি পশুর হাট বসানো হয়েছিল। এর মধ্যে ডিএনসিসি এলাকায় ১০টি এবং ডিএসসিসি এলাকায় ১৩টি পশুর হাট বসানো হয়।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ