র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সেটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়াও দীর্ঘ, তবে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকায় নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত করেন। সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশকে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে চলমান আলোচনা আমাদের দু’দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।’
এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি, বাংলাদেশে যেভাবে গণমাধ্যম কাজ করে, অনেক উন্নয়নশীল দেশে এভাবে কাজ করতে পারে না। আমি যুক্তরাজ্যের উদাহরণ দিয়েছি। সেখানে গণমাধ্যমে কোনও ভুল সংবাদ পরিবেশিত হলে, কারও বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হলে, কারও চরিত্র হনন করা হলে, যেভাবে গণমাধ্যমকে জরিমানা গুনতে হয়, আমাদের দেশে তেমনটি নয়। বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের তুলনামূলক চিত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীকে মার্কিন সহায়তা বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ দমনে তাদের সহায়তার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে দু’দেশের আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের লক্ষ্যে নানাদিক নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূতও সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ যেভাবে কাজ করছে, তার প্রশংসা করেছেন।’
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান যে, বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে জানবার জন্য তিনি মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের সম্পর্ক দ্রুত আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। মন্ত্রীর দফতর ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ