দেড়শ বছরের বেশি সময় ধরে রেলওয়েতে প্রচলিত ‘রানিং ভাতা’ বা ‘মাইলেজ সুবিধা’ বাতিল করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে।
ট্রেন বন্ধ রেখে চালক, সহকারী এবং টিকেট পরিদর্শকদের আন্দোলনের মুখে এই ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। পরে আন্দোলনরত কর্মচারীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়।
১৬০ বছর ধরে মাইলেজ সুবিধা পাচ্ছিলেন রেলের রানিং স্টাফরা। অর্থাৎ দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন। এছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। কিন্তু গত বছরের ৩ নভেম্বর এসব সুবিধা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
সরকারের সিদ্ধান্তের পর আন্দোলনে নামেন রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। আন্দোলনের মুখে গত ৩০ জানুয়ারি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।
১০ এপ্রিল অর্থ বিভাগের এক আদেশে, রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হলে কর্মচারীদের মধ্যে ফের অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর হঠাৎ আজ ভোর থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
বিষয়টির সমাধানে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সেখানে গিয়ে আন্দোলন করা কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে প্রজ্ঞাপন বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ