ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

প্রকাশনার সময়: ১২ এপ্রিল ২০২২, ১১:০২ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২২, ১১:৪০

আসন্ন ঈদুল ফিতর আনন্দময় করে তুলতে এরই মধ্যে নতুন পোশাক কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন রাজধানীতে থাকা মানুষ। এখন ঈদ পোশাকের মধ্যে শিশুদের ফ্রক এবং নারীদের থ্রি-পিস সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা শপিং মলসহ বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-দর্শনার্থীতে মার্কেটটি পরিপূর্ণ না থাকলেও প্রতিটি দোকানেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণা রয়েছে। তাদের কেউ কেউ ঘুরে ঘুরে পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য দেখছেন, আবার কেউ কেউ পছন্দের পোশাক ও জুতা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের কেনাকাটা এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। ঈদকেন্দ্রিক মূল বিক্রি শুরু হবে ১৫ রোজার পর। তবে প্রতিদিনই ক্রেতারা ঈদের পোশাক কিনতে মার্কেটে ছুটে আসছেন। এখন মূলত শিশু ও নারীদের ঈদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।

তারা বলছেন, করোনার কারণে গত দুই বছরের ঈদ মানুষ সেইভাবে উদ্যাপন করতে পারেনি, অনেকটা ঘরবন্দি জীবন কেটেছে। এখন পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। তাই এবারের ঈদে বেশ ভালো বিক্রি হবে এমন আশায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের মূল বিক্রি শুরু হবে ১৫ রোজার পর। তবে এখন যা বিক্রি হচ্ছে তাতেও আমরা খুশি। গত শুক্রবার ও শনিবার বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে। এখন মূলত শিশু ও নারীদের পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে শিশুদের ফ্রক এবং নারীদের থ্রি-পিস সব থেকে বেশি চলছে। এর পাশাপাশি ভারতীয় থ্রি-পিসও ভালো বিক্রি হচ্ছে। শিশুদের কোন ধরনের ফ্রক এবং কোন ধরনের থ্রি-পিস বেশি বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন যেহেতু গরম তাই সুতি ফ্রক বেশি কিনছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি সুতি হাল্কা টি-শার্ট ভালো বিক্রি হচ্ছে।

যমুনা ফিউচার পার্কের মূল গেট দিয়ে মার্কেটটির ভেতরে প্রবেশ করে একটু সামনে এগিয়েই চোখে পড়ে নবরূপা। প্রতিষ্ঠানটি শিশুদের বেশকিছু পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে। এর পাশাপাশি নারীদের কিছু পোশাকেও ছাড় দেয়া হচ্ছে। রেগুলার দামে ছেলেদের পাঞ্জাবি, শিশুদের বিভিন্ন পোশাক, নারীদের থ্রি-পিস, ওয়ান পিস, শাড়ি, ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছে।

ঈদের বিক্রি পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয়কর্মী শাহবুদ্দিন বলেন, ঈদের এখনো অনেক সময় বাকি আছে। তবে ঈদকেন্দ্রিক বিক্রি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। প্রতিদিন ক্রেতারা এসে ঈদের পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এখন সব থেকে বেশি চলছে শিশুদের ফ্রক এবং মেয়েদের পাকিস্তানি থ্রি-পিস।

নারী ও শিশুদের পোশাকের স্টলে ক্রেতাদের ভালো আনাগোনা দেখা গেলেও ছেলেদের পোশাকের স্টলে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এ বিষয়ে রকিস’র ম্যানেজার আরমান বলেন, অনেকে আছেন আগে শিশু ও নারীদের জন্য কেনাকাটা করেন, তারপর নিজের জন্য কিনেন। এখন মূলত শিশু ও নারীদের কেনাকাটা চলছে। আর কয়েকদিন পর পুরুষদের পোশাকও বিক্রি শুরু হয়ে যাবে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এবারের ঈদে বেশ ভালো বিক্রি হবে। গত শুক্রবার ও শনিবার এই মার্কেটে ক্রেতাদের অনেক ভিড় ছিল।

মার্কেটটি থেকে মেয়ের জন্য পোশাক কেনা আরিফুল ইসলামের একজন বলেন, আমার মেয়ের বয়স ৫ বছর। করোনার কারণে গত দুই বছরের ঈদ সেইভাবে উদ্যাপন করতে পারিনি। গ্রামে না গিয়ে ঢাকাতে বদ্ধ সময় কাটিয়েছি। এবারের ঈদ গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সবাই মিলে উদ্যাপন করবো। ওদেরকে (স্ত্রী ও সন্তান) একটু আগেভাগেই পাঠিয়ে দেবো। এ জন্য আগে আগেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করতে চাচ্ছি।

মার্কেটটি থেকে ঈদের কেনাকাটা করা ফারিয়া নামের আর একজন বলেন, আজ মূলত মার্কেটে ঘুরতে এসেছিলাম। খুব পছন্দ হয়ে হওয়ায় কয়েকটা থ্রি পিস কিনে নিয়ে যাচ্ছি। ৮-১০ দিন পর আবার আসব। সে সময় ঈদের মূল কেনাকাটা করব।

শুধু যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা শপিং মলই নং রাজধানীর নামি-দামি শপিংমল এখন সেজেছে নানা সাজে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ