স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বড়দিনে যেমন আমরা সবাই একত্রিত হই, তেমনই পূজার সময়েও আমরা একত্রিত হই। ঈদের সময়েও একই চিত্র দেখা যায় আমাদের দেশে। এছাড়াও আমরা বৌদ্ধ পূর্ণিমাতে সবাই সবার আনন্দ ভাগাভাগি করি। এটাই বাংলাদেশ। হাজার বছর পেছনে তাকালেও একই দৃশ্য দেখা যাবে। এজন্যই আমরা দুর্বার গতিতে সম্মুখে চলছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর দেশে। এখানে কোনও উসকানি দিয়ে লাভ হবে না। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর লালবাগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনের শুরুতে ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ হবে। এ দেশ সবার। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ থাকবে। কোনও শক্তি বাংলাদেশকে এ জায়গা থেকে সরাতে পারবে না। সবাই এখানে বাংলাদেশি এবং আমরা সবাই বাঙালি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। উভয় দেশ শুধু ইতিহাস-সংস্কৃতিই ভাগাভাগি করে না, ধর্মনিরপেক্ষতা, পারস্পরিক সুযোগ-সুবিধাও ভাগাভাগি করে। বাংলাদেশকে ভারত সবসময় সমর্থন করেছে এবং করে যাবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের জায়গা দিন দিন আরও দৃঢ় হবে। তবে এখনও দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত কিছু সমস্যা রয়ে গেছে।
তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, তিস্তা নদীর পানির সমস্যা সমাধান করতে পারলে দুই দেশের জনগণই লাভবান হবে। দেশে অসাম্প্রদায়িকতা বজায় রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের মাঠে থাকার কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি। এতে বক্তব্য দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক জে এল ভৌমিক, সদস্যসচিব চন্দ্রনাথ পোদ্দারসহ প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ