দেশে যখন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে তখনি মাথা নাড়া দিয়ে উঠেছে ডেঙ্গু। শহর থেকে গ্রামে কিংবা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শুধু ডেঙ্গু রোগী। কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডেঙ্গু। চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮ জন রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের অধিকাংশই ঢাকার বাসিন্দা। এর মধ্যে ২১ জন রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৭ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৪ জনে। ঢাকার ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১১২ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫২ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার ১২৭ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৭ হাজার ৮৬২ জন। ডেঙ্গুতে এ সময়ে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যায় ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে, সেবার ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ ছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মহামারি মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ