ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘জলবায়ু অর্থায়নে এখনো উন্নত দেশের আন্তরিকতার অভাব’

প্রকাশনার সময়: ১১ নভেম্বর ২০২১, ২০:১৩

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগদানরত তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও পরিবেশ গবেষক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রতিশ্রুত অর্থায়নে এখনো উন্নত দেশসমূহের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট দুর্যোগ প্রশমন এবং পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে অভিযোজনে সমান অর্থ বরাদ্দের জন্যও উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

ড. হাছান বলেন, জলবায়ু অর্থায়নে উন্নত দেশগুলোর নানা বাহানা ও ছলছুতার দীর্ঘসূত্রিতা বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর বড় প্রমাণ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের নিষ্পাপ শিকার। অথচ এতে আমাদের দায় একেবারেই নগণ্য। শিল্পোন্নত ও ধনী দেশগুলো দায়ী হলেও তারা এর দায় নিচ্ছেনা, বরং দায় এড়িয়ে যাচ্ছে।

স্কটল্যান্ডের স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় কপ২৬ এর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে প্যারিস চুক্তির আর্থিক স্বচ্ছতা প্রক্রিয়া বিষয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (সিথ্রিআর) আয়োজিত ‘ট্রান্সপারেন্সি মেকানিজম ইন প্যারিস এগ্রিমেন্ট: ইস্যুজ, কনসার্নস এন্ড অপরচুনিটি ফর ইফেকটিভ ইমপ্লিমেনটেশান’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সিথ্রিআর উপদেষ্টা ড. আইনুন নিশাতের সভাপতিত্বে ক্লাইমেট চেঞ্জ সংক্রান্ত বাংলাদেশ সংসদীয় দলের প্রতিনিধি তানভীর শাকিল জয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ গ্যারি ফক্স, ড. সেলিমুল হক, ড. আতিক রহমান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পোষাতে প্রতিশ্রুত অর্থায়নে উন্নত দেশগুলোর গড়িমসি কাম্য নয়। এক্ষেত্রে তাদের স্বচ্ছতা, সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতারও অভাব রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ ক্ষতির কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেনি, বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে যাচ্ছে, যা ইতোমধ্যেই বিশ্বে সমাদৃত।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্ষুধাকে জয় করে এখন খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। আমাদের সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ, উদ্যোগ, বিজ্ঞানী ও গবেষকদের গবেষণায় জলবায়ু সহিষ্ণু বিভিন্ন জাতের ধান উৎপাদন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আমাদের গবেষকরা খরা, বন্যা, জলমগ্নতা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন।

জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে ১৭ নভেম্বর তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ