ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অবকাঠামো উন্নয়নে ফেসবুককে অবদান রাখার আহ্বান

প্রকাশনার সময়: ০৯ নভেম্বর ২০২১, ২২:৪৯

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও অবদান রাখার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে সরকারের বিনিয়োগবান্ধব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ফেসবুকও লাভবান হবে। মন্ত্রী ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশের ডিজিটাল সংযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

মোস্তাফা জব্বার মঙ্গলবার রাজধানীর রমনায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) মিলনায়তনে বিটিআরসির মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সটের মাধ্যমে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, ফেসবুকের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হেড অব কানেক্টিভিটি টম সি. ভার্গিস, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রহমান এবং বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অফিসার তৈমুর রহমান বক্তৃতা করেন।

বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ অনুষ্ঠানে মূল বিষয় উপস্থাপন করেন।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সটের মাধ্যমে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপের উদ্বোধনের মাধ্যমে ডিজিটাল সংযোগ বিকাশে আমরা ত্রিমাত্রিক মাইলফলক অর্জন করেছি। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তা-চেতনা গুরুত্বপূর্ণ স্তর বলে উল্লেখ করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বার মোবাইল অপারেটরসহ ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে বলেন, বস্তুতপক্ষে জনগণকে সঠিক সেবা দিতে হলে তাদের প্রয়োজনের প্রতি নজর রাখতে হবে। অন্যথায় কোনো প্রতিষ্ঠানই বিকশিত হতে পারবে না। অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে না পারলে দায়িত্ব পালনও সঠিক হবে না বলে তিনি জানান।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী কোভিডকালে মানুষের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্পেকট্রাম বরাদ্দ এবং মোবাইলের ৪জি নেটওয়ার্ক প্রত্যন্ত ও দুর্গম গ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারণে বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, করোনাকালে টেলকো কোনোভাবেই সেবাকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেনি, তারা দেখেছে দেশ ও জাতির স্বার্থ। তিনি মোবাইলে বাংলা ভাষায় এসএমএস প্রবর্তনকে একটি ঐতিহাসিক কাজ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলা ভাষার জনগণের সঙ্গে জনগণের ভাষায় আমরা কথা বলতে চাই। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে তা করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাংলায় এসএমএসের মূল্য অর্ধেকে নির্ধারণ করার কথাও তিনি জানান।

মন্ত্রী ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসের সাইড লাইনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার ফলপ্রসূ বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ফেসবুক ব্যবহারকারীর দিক থেকে বিশ্বের দশম দেশ, তিন-চার বছর আগেও তা ছিল না। ফেসবুকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তারা এখন বাংলাদেশের প্রতি অনেক সহযোগিতামূলক আচরণ করছে।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সটের মাধ্যমে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। পরে মন্ত্রী সুইচ টিপে অ্যাপের উদ্বোধন করেন।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ