কোনো পণ্যের মূল্য পরিশোধের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি কোম্পানির কাছে তা হস্তান্তর করে ক্রেতাকে জানিয়ে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে অনলাইনে বেচাকেনার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ডিজিটাল বেচাকেনায় স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা আনতে ৬৯টি ধারার ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা জারি করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে গেজেট আকারে প্রকাশিত নির্দেশিকাটি পড়ে শোনান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স ব্যবসার যাতে সুষ্ঠু বিকাশ হয় এবং তাদের প্রবৃদ্ধি বজায় থাকে, একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বিরাজ করে, সেজন্য সব পক্ষের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে এই নির্দেশিকা করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়, বিক্রির জন্য প্রদর্শিত পণ্যের পুরো দাম পরিশোধ করলে সেই পণ্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারিম্যান কিংবা কোম্পানির কাছে দিতে হবে। সেই তথ্য ক্রেতাকে জানাতে হবে এবং পণ্যের অবস্থান ট্র্যাক করতে হবে।
ক্রেতা ও বিক্রেতা একই শহরে থাকলে সর্বোচ্চ ৫ দিন এবং ভিন্ন শহরে থাকলে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য হস্তান্তর করা নিশ্চিত করতে হবে।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ই-কমার্স কোম্পানিগুলো ১০ শতাংশের বেশি অগ্রিম টাকা নিতে পারবে না। কোনো ক্যাশব্যাক বা ডিসকাউন্টের ঘোষণা দিলে তা নিজেদের ওয়ালেটে না রেখে ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। আর প্রতারিত বা সংক্ষুব্ধ হলে দেশের প্রচলিত বিচারালয়ের পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, মহামারিতে ডিজিটাল বেচাকেনা বেশ বিস্তার লাভ করছে। অনেকে এই সুযোগে অনেক বেশি ডিসকাউন্ট দিচ্ছেন। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন, এর ফলে এই ব্যবসায় বড় ধরনের বিপর্যয় আসতে পারে। কিভাবে ব্যবসা পরিচালিত হবে এনিয়ে এখানে একটা শূন্যতা ছিল। পণ্য কিভাবে পৌঁছাবে, পেমেন্ট কিভাবে হবে এসব নিয়ে অভিযোগ আসছিল। এজন্য ভোক্তাবান্ধব এবং ব্যবসাবান্ধব ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা করেছি আমরা।
তিনি জানান, কোনো পক্ষ যাতে প্রতারিত না হয় সেজন্য জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী এই নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রথম ধাপ, প্রয়োজনে এখানে আরও সংযোজন বিয়োজন করা যাবে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ