সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে দেশের শিল্পীসমাজ। তারা বলেছে, যারা সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে, তারা দেশের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রু।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে শিল্পী সমাজের সম্পীতি সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে এই সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরি সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতারের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন অভিনেত্রী ও জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিন জাহান, চিত্র নায়িকা সিমলা, মিস বাংলাদেশের মুনজারিন অবনিসহ অভিনেত্রী-অভিনেতাসহ শিল্পী, নাট্য ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে শিল্পীরা বলেন, বাংলাদেশ যখন উন্নয়ন-অগ্রগতিতে অন্যদেশকে পেছনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি গোষ্ঠীর গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। কারণ তারা বাংলাদেশের অগ্রগতি-উন্নয়ন দেখতে পারে না। এরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাক, তারা তা চান না। সে কারণেই সম্প্রতি সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বলেন, এ দেশ সবার। সবার সমান অধিকার নিয়ে বাঁচার অধিকার রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সে বিষয়টি নিশ্চিত করে গেছেন।
সম্প্রীতির সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, যখনই নির্বাচনের সময় আসে তখনই নানা চক্রান্ত শুরু হয়। উন্নয়ন ও অর্জনের কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসবেন। সে কারণেই তারা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই সাম্প্রদায়িক হামলা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনা যতদিন সরকার প্রধান থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশ নিরাপদ। অন্য কোনো শক্তি ক্ষমতায় আসলে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত হবে দেশ।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ