বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে দুবাই থেকে ঢাকায় অবতরণের পরেই শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তার মৃত্যুতে শোকও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার আকস্মিক মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। উপদেষ্টা হাসান আরিফ একজন শীর্ষ আইনজীবী, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
বাংলাদেশের সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল দীর্ঘদিন ধরে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কয়েক দশক ব্যাপী দীর্ঘ জনসেবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, হাসান আরিফ একজন উজ্জ্বল আইনজীবী হিসেবে এবং ভিন্নমতাবলম্বী, ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর ও আমাদের সমাজের প্রান্তিক মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় তাঁর সক্রিয় ভূমিকার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান উপদেষ্টা হাসান আরিফ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। হাসান আরিফের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. আবেদ চৌধুরী।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ