ঢাকা, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ: তারেক রহমান

প্রকাশনার সময়: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৬ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৮

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে দেশপ্রেম, শান্তি ও মানব কল্যাণ।

তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।

তারেক রহমান হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং তাদের সুখ,শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন।

তারেক রহমান বলেন, আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। শরতে বাংলাদেশের চারিদিকে কাশফুল ও শীতের আভাস জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। কয়েক শতাব্দী ধরে উৎসবটি সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গাপূজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়। আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারে গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।

উৎসব যে ধর্মেরই হোক, উৎসবের প্রাঙ্গণ সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত এ কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, উৎসবের প্রাঙ্গনের দরজা কখনোই বন্ধ থাকে না। যে কোন ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে এবং সকলের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়।

তিনি বলেন, ‘সকল ধর্মের মর্মবাণী দেশপ্রেম, শান্তি ও মানব কল্যাণ। বর্বর ও হিংসাত্মক যুদ্ধের বিপরীতে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সকলের কর্তব্য।’ তারেক রহমান উল্লেখ করেন, দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে মানবিক সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। উৎপীড়ণ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্যদিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার অন্তর্নিহিত তাগিদ। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সকলে মিলে ভাগ করে নিতে হবে। কারণ, উৎসবের পরিসর সংকীর্ণ নয়, বরং এটি উন্মুক্ত ও সর্বজনীন।

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সমঅধিকার ও সুরক্ষার সমান সুযোগের অলঙ্ঘনীয় বিধান থাকতে হবে। আমাদের দেশ একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে জনগোষ্ঠীর সকল সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে। তাই আসুন, আমরা সবাই মিলে এমন একটি যৌথ সম্প্রদায় গঠন করি, যেখানে ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।’

তারেক রহমান আনন্দময় দুর্গাপূজার এ উৎসবে সংশ্লিষ্ট সকলকে তাঁর উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এই উৎসবে প্রতিটি গৃহে শান্তি-সম্প্রীতি বয়ে আনার পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সংহতি আরো সম্প্রসারিত হোক।

তিনি বলেন,‘এদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশী-এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়।’

তারেক রহমান এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ