ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও তিতাসে নিযুক্ত বহিরাগত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অপসারণ ও তিতাসে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশনার সময়: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০৯ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:০৬

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও তিতাসে নিযুক্ত বহিরাগত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অপসারণ করে ২০০২ সালে জারিকৃত সরকারি গেজেট অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন পুনর্বহালের মূল দাবি সহ ১০ টি সংস্কারমূলক প্রস্তাব করেছেন তিতাস গ্যাস বৈষম্য বিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যজোট। মানববন্ধনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের পরিবর্তে একজন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ পদায়নের দাবিও করেছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তিতাস কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে এসব দাবি তুলে ধরেন কর্মকর্তারা।

মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, দুর্নীতিবাজ তৌফিক ই ইলাহী ও নসরুল হামিদ বিপুর সিন্ডিকটের সদস্য হলেও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হিসেবে জনেন্দ্র নাথ সরকার এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিতাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

তিতাসের কর্মীরা বলেন, জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে অবিলম্বে তিতাসকে পূর্নাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন করা প্রয়োজন। মানববন্ধন থেকে আবাসিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে বের হয়ে আসার দাবিও জানানো হয়।

মানববন্ধনে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, আমরা সৎ অফিসার হিসাবে কাজ করি। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আমাদের দুর্নীতিবাজ অফিসার বলতে পারেন না। আর যদি আমরা দুর্নীতিবাজিই হই, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে তিনি এ্যাকশন নিচ্ছেন না কেন? আমারা কাজ করবো, জাতীয় পর্যায়ে ফাস্ট হবো আবার আপনার অবজ্ঞার শিকার কেন হবো?

আরেক কর্মকর্তা বলেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আমাদের ঢালাওভাবে দুর্নীতিবাজ, চোর বলে অভিবাকের সম্মান হারিয়েছেন। আমরা তার পদত্যাগসহ দশ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। এ আন্দোলন চলবে।

১ দফা দাবির সঙ্গে তিতাস গ্যাস কোম্পানির বৈষম্যবিরোধী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রদত্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো হলো-

১. ২০০২ সালে জারীকৃত সরকারি গেজেট অনুযায়ী কোম্পানিতে 'পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন' পুনর্বহাল ও প্রযোজ্য নিয়ন্ত্রণ সরাসরি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ন্যস্ত করা; ২. 'পেট্রোমাফিয়া সিন্ডিকেট' এর দোসর- পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকারকে অবিলম্বে অপসারণ ও চেয়ারম্যান হিসেবে একজন অভিজ্ঞ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ পদায়ন; ৩. ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক 'বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন আইন, ২০২২'-এর মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে কোম্পানিসমূহের অধিকার খর্ব করা হয় যা বাতিল করা; ৪. পেট্রোবাংলা কর্তৃক 'আবাসিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ' বন্ধকরণের দুরভিসন্ধিমূলক ও হঠকারী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করা; ৫. টেকসই জ্বালানি খাত নিশ্চিত করতে, দীর্ঘদিন ধরে বিশেষায়িত কোম্পানির সাথে চলমান বেতন বৈষম্য দূরীকরণে ও মেধাবী জনবল ধরে রাখতে কোম্পানিতে 'স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো' অবিলম্বে বাস্তবায়ন; ৬. গ্রাহক সেবা সহজীকরণের স্বার্থে অতি দ্রুত 'One Stop Service' চালু করা; ৭. পেট্রোবাংলা কর্তৃক স্বৈরতান্ত্রিক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বৈষম্যমূলক উপায়ে এমডি নিয়োগ বন্ধ করে পদোন্নতির যোগ্য ও জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী নিজ কোম্পানি হতে পদোন্নতির মাধ্যমে এমডি পদে পদায়ন। প্রতি ৩ বছরে অর্গানোগ্রাম একবার হালনাগাদ করা এবং কোম্পানিতে যৌক্তিক ও সাম্যতার ভিত্তিতে নিয়মিত পদোন্নতি; ৮. প্রশাসনিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও 'আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ' হালনাগাদ করা; ৯. কোম্পানির অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার জনসংখ্যা এবং কারিগরি-ব্যবস্থাপনাগত সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে 'সিস্টেম লসের যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সীমা' নির্ধারণ করা; ১০. 'Zero Emission' নিশ্চিতকল্পে অনতিবিলম্বে ৪০/৫০ বছরের পুরনো বিতরণ লাইনসমূহ পরিবর্তন করা এবং Metering System আপগ্রেড করে Remote Metering System, বিতরণ ব্যবস্থাপনায় Online Monitoring System প্রবর্তন করা।

তিতাসের প্রেস রিলিজ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ