চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দিনভর সচিবালয় ঘেরাও করে রাখার পর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন আনসার সদস্যরা।এসময় আনসার সদস্যরা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এবার আনসার আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ার পর পল্লী বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি শুরু করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রয়াস চালাতে পারে বলে দাবি করেছে বিশ্বস্ত একটি গোয়েন্দা সুত্র। অনুসন্ধানী প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিক ও বিশ্লেষক জুলকারনাইন সায়ের খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টে তিনি বলেন ,আনসার বাহিনীর নাম ব্যবহার করে যারা তথাকথিত আন্দোলন শুরু করেছিলো এরা মূলত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বরাতে জানা যায় বিগত ১৫ বছরে প্রায় ৪২ হাজার অঙ্গীভূত আনসার নিয়োগ পেয়েছেন, যার বেশিরভাগ সদস্যই গোপালগঞ্জ ও এর আশেপাশের জেলার বাসিন্দা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা যারা রাষ্ট্রের অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের সাথে এই অঙ্গীভূত আনসারদের এক করে দেখার কোন সুযোগ নেই, এবং তাঁরা কোন আন্দোলনের সাথেও যুক্ত হননি।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হকের পরোক্ষ উস্কানীতে দেশে বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের লেলিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আমিনুল হকের মতো কমপক্ষে আরো ৫ জন উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তা রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে সক্রিয় রয়েছেন এবং এখনো হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীর পরামর্শে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে চলেছেন।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ