ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ভেঙ্গে দেওয়া হয় সংসদ আর একে একে গ্রেফতার হচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা। এরমধ্যে রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় দোকানকর্মী শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান। বর্তমানে তারা রিমান্ডে আছেন এখন সেখানে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে, তারা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হলেও সাবেক সরকারের বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডের প্রাসঙ্গিক বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন।
পল্টন থানায় দায়ের করা রিকশাচালক কামাল মিয়া হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে।
ওই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আসামিরা সবাই দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন। তারা দাবি করছেন, বিষয়গুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারা সংঘাত-সংঘর্ষ বা কাউকে গুলি করার নির্দেশ দিতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শুধু সরকারি অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এই ধরনের ঘটনার জন্য তারা প্রস্তুত ছিলেন না বলে দাবি করেন। ঘটনার বিষয়গুলো তারা স্বীকার করলেও দায় চাপাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মামলার প্রাসঙ্গিক বিষয় ছাড়াও সালমান এফ রহমান শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি এবং ব্যাংক ও আর্থিক খাতে লুটপাটের বিষয়েও মুখোমুখি হচ্ছেন। পাশাপাশি জিয়াউল আহসানকে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গুম, খুন ও ভিন্নমতের লোকজনকে ধরে নিয়ে ‘আয়নাঘরে’ রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলককে আইসিটি খাতে দুর্নীতি ছাড়াও ছাত্র আন্দোলনে বারবার ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল কেন, সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ