ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নাফিজ সরাফাতের কার্টুন আঁকায় গ্রেফতার কার্টুনিস্ট কিশোর!

প্রকাশনার সময়: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১৯:২৭ | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৩৫

পদ্মা ব্যাংকের (একসময়ের ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের কার্টুন আঁকায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং লেখক মুশতাক আহমেদ গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহ।

আজ শনিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ দাবি করেন।

ফেসবুক লাইভে সাইয়েদ আবদুল্লাহ বলেন, ব্যাংকখেকো চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং তার পুরো পরিবার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। নাফিজ সরাফাতের আমলনামা খুলতে বসেছি। নাফিজ সরাফাতরা তিন ভাই তিন বোন। তাদের মধ্যে একজন চৌধুরী জাফরুল্লাহ সরাফাত, যাকে আপনার সবাই চিনেন। তিনে ক্রিকেট খেলার কমেন্ট্রি করেন।

আহমেদ কবির কিশোরের কার্টুন

সাইয়েদ আবদুল্লাহ আরও বলেন, এই নাফিজ সরাফাত সেই ব্যাক্তি, যার নামে কার্টুন আঁকায় কর্টুনিস্ট কিশোর এবং লেখক মুশতাক আহমেদের উপর অবর্ণীয় কষ্ট নেমে এসেছিল। তাদের উপর কী পরিমান নির্যাতন নেমে এসেছিল! নির্যাতন সইতে না পেরে জেলে থাকা অবস্থাতেই মারা যান মুশতাক আহমেদ। আর কার্টুনিস্ট কিশোরের উপর কী পরিমাণ নির্যাতন করা হয়েছে, আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।

আঠারো মিনিটের এই লাইভে তিনি আরও বলেন, মুশতাক ভাই যখন মারা যায়, আমরা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারিনি। প্রতিবাদ করতে গেলে এজেন্সির লোকজন নাম-ধাম টুকে নিয়ে গেছে। আমার নাম টুকে নিয়ে গেছে সবার আগে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২০ সালের ৫ই মে আটক হন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান। তাদের বিরুদ্ধে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ছাড়াও জাতির জনকের প্রতিকৃতি, জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিলো।

সাইয়েদ আবদুল্লাহ

মামলার এজাহারে যা বলা হয়, 'আই এম বাংলাদেশি' নামে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করার বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে, অপপ্রচার বা মিথ্যা জানা সত্ত্বেও গুজবসহ বিভিন্ন ধরণের পোস্ট দেয়া আছে যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।

‘‘আই এম বাংলাদেশি পেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, পেজটির এডমিন সায়ের জুলকারনাইন এবং আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ, মুশতাক আহমেদ নামের ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে উক্ত ফেসবুক পেজটি পরিচালনা করে আসছে।’’

এজহারে আরও বলা হয়, আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনা ভাইরাস, সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ