কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে রাজধানীতে চলা তাণ্ডবের পর ধীরে ধীরে জনমনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। খুলেছে অফিস-আদালত। সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। বাজার পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে আসছে। শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। তারপরও রাজধানীবাসীর মনে ভর করেছে নতুন আতঙ্ক। বিশেষ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিবার রয়েছে চরম আতঙ্কে।
রাত হলেই মহল্লায় মহল্লায় ব্লক রেইড দিয়ে তুলে নেয়া হচ্ছে সন্দেভাজনদের। এদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই শেষে অনেকের মুক্তি মিললেও কারো স্থান হচ্ছে কারাগারে। গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করছেন সাধারণ নাগরিকরা। কারণ এরই মধ্যে আন্দোলনের সমন্বয়করা সরকারকে নতুন দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি সমন্বয়কদের ৫ জনকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কারণেও অনেক অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, সমন্বয়কদের নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত মনে না হলে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। একই সঙ্গে পুলিশেরও দাবি, ‘নীরিহ কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হচ্ছে না। সুনিদৃষ্ট তথ্য-প্রমাণ ও ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হওয়ার পরই আন্দোলনকারীদের আটক করা হচ্ছে’।
এদিকে শনিবার রাতেও ঢাকার বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নতুন করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২৮ জনকে। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে রাজধানীতে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৯টি গ্রেপ্তারে সংখ্যা দাঁড়াল ২৭৬৪ জনে। এদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন থানা ও গোয়েন্দা হেফাজতে। আবার কাউকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
অন্যদিকে মেট্রোরেল স্টেশনে নাশকতা ও মিরপুর-১০ নম্বর পুলিশ বক্সে আগুনের ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা সরকার উৎখাতের জন্য বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাইফুল ইসলাম নিরবের নির্দেশে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়। গ্রেপ্তার ৪ জনকে রিমান্ডে এনে এ ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ডিবি প্রধান হারুণ-অর-রশিদ।
জানা গেছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের এক পর্যায়ে জামায়াত ও বিএনপির অনুপ্রবেশ ঘটে। এরপর আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। গত ১৬ জুলাই প্রথম ৬ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হতাহতের ঘটনা শুরু হয়। পরে তা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। প্রায় ৬ দিন ধরে চলা সহিংসতায় অন্তত ২০০ জনের অধিক মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যেমে প্রকাশ পায়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কারফিউ দিয়ে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামায়। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর পর্যায়ক্রমে কারফিউ শিথিল করে সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফেরানোর চেষ্টা চলছে। খুলেছে অফিস-আদালত। সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। বাজার পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তারপরও রাজধানীবাসীর মনে ভর করেছে নতুন আতঙ্ক। রাত হলেই মহল্লায় মহল্লায় ব্লক রেইড দিয়ে তুলে নেয়া হচ্ছে সন্দেভাজনদের। থানায় নিয়ে টাকা লেনদেনের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।
মিরপুর বড়বাগের স্থানীয় এক বাড়িওয়ালা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় তার বাড়িতে বসবাসকারী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র মিরপুর-২ নম্বরের কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে যায়। এ সময় তাদের পুলিশের গাড়িতে তুলে নেয়া হয়। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন করে ৪০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তাদের মামলায় চালান দিয়ে রিমান্ডে আনার হুমকিও দেয়া হয়। এ সময় তারা বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের জানালে তাদের হস্তক্ষেপে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা মুক্তি পান। এ ঘটনার পর থেকে ওই দুই ছাত্রসহ মেসে বসবাসকারী অন্যরাও রয়েছেন আতঙ্কে। একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানান তেজগাঁওয়ের এক কলা ব্যবসায়ী। তার আড়তের দুই কর্মচারীকেও একইভাবে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের হস্তক্ষেপে তারা মুক্তি পান। তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়া, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী এলাকায়ও চলছে ব্লক রেইড। জামায়াত ও বিএনপির নেতাদের সন্ধানে বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িও। এতে জনমনে বাড়ছে আতঙ্ক।
জানতে চাইলে ডিএমপির জয়েন্ট কমিশনার বিপ্লব সরকার বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করছে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই আটক করা হচ্ছে। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। তবে দু-একটি ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। এ বিষয়ে নীরিহ কাউকে হয়রানি না করতে পুলিশের মাঠ পার্যায়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। কারো বিরুদ্ধে বাণিজ্য করার প্রমাণ পাওয়া গেলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিপ্লব সরকার বলেন, সরকারি স্থাপনায় হামলা, পুলিশ সদস্যদের মারধরের পর খুন ও লুটপাটের ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ২২৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে কয়েক হাজার ব্যক্তিকে। অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা আরো বেশি। গত কয়েক দিনের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে ২৭৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন থানায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আন্দোলের নির্দেশদাতা বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ নেতারা। বাস্তবায়নে ছিল মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী। এদের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে হিসেবে যুক্ত ছিল ভাসমান লোকজন। তাদের সবাইকে শানাক্তের কাজ চলছে। এ ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
সার্বিক এমন পরিস্থিতিতে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি, সব মামলা প্রত্যাহার, ছাত্র-জনতা হত্যায় দায়ী মন্ত্রী থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সবাইকে অব্যাহতি দিয়ে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শুক্রবার অনলাইন গুগল মিটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। এ সময় বক্তব্য রাখেন— সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ। তাদের বক্তব্যে অন্য সমন্বয়কদের সমর্থন আছে কিনা এমন প্রশ্নে তারা জানান, নতুন কোনো কিছু বলা হচ্ছে না। সমন্বয়কদের আগের অবস্থানের আলোকে আমরা কথা বলছি। কারণ তারা কেউ হেফাজতে আছেন। কেউ নিরাপত্তার কারণে যোগাযোগ করতে পারছেন না। আমাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।
কোটা নিয়ে পরিপত্র খেলা বন্ধ করা ও কমিশন গঠন করে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশের মাধ্যমে কোটা সংস্কার করে সংসদে আইন পাস করার দাবি জানিয়ে সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, গ্রেপ্তার ও গুম হওয়া নেতাদের মুক্তি এবং সারা দেশে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যার করতে হবে, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত মন্ত্রী থেকে শুরু করে পুলিশ কনস্টেবল পর্যন্ত জড়িতদের অব্যাহতি এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামব আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, যে অবিচার চলছে এটা চলতে পারে না। এভাবে দম বন্ধ পরিবেশ থেকে আমরা নিজেদের ও শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে চাই। শিক্ষার্থীদের এমন হুঁশিয়ারির পর নতুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ নাগরিকদের মাঝে। তাদের ধারণা কারফিউ তুলে নেয়া হলে ছাত্ররা আবারও মাঠে নামতে পারে। যদিও তাদের এই আলটিমেটাম গতকাল শেষ হয়েছে। এরপর রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নুতন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি।
এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর ও কাজীপাড়ায় মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদলের নেতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম দক্ষিণ ইউনিট। ডিবি বলছে, পরিকল্পিতভাবে মিরপুরে মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ হামলায় এক থেকে দেড় হাজার মানুষ অংশ নেয়।
ডিবির তথ্যানুযায়ী, হামলায় সমন্বয় করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার। হামলার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের (মিশুক)। একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বজলুল রহমান (বিজয়) ও ছাত্রদলের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি মো. ফেরদৌসকে (রুবেল)।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর করায়। বিশেষ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেলে যারা আগুন লাগিয়েছে, সেতু ভবনে আগুন লাগিয়েছে, পুলিশ সদস্যদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে ও হত্যা করেছে, আমরা তাদের যেখানেই থাকুক একে একে সবাইকে গ্রেপ্তার করব।
তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১৯ জুলাই কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা মিরপুরের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করে, সেই ঘটনায় জড়িত থাকার ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছি।
হারুন দাবি করেন, মেট্রো স্টেশনে হামলার মাস্টারমাইন্ড ও নেতৃত্বদাতা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু হান্নান। হান্নান তার সহযোগীদের নিয়ে বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল ইসলাম নিরবের নির্দেশনায় মেট্রো স্টেশনে আগুন দেয়। এ ঘটনায় আরও দুই নেতার নাম প্রকাশ করেছে তারা। যাদের মধ্যে বিএনপি নেতা শ্রাবণ আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিএনপির নেতারা চার-পাঁচ জনকে দায়িত্ব দেয়। মেট্রো স্টেশনে আগুন দিয়ে ধ্বংস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়, সাধারণ মানুষ যেন মেট্রোতে আর চলাচল করতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল স্টেশনে আগুন ও দায়িত্বরত পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অনেকের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে এ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে ডিবি অভিযান চালাচ্ছে।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন গাজীপুরের সাবেক মেয়রের সহকারীকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একজন পথচারীকে পুলিশ ভেবে মেরে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এমন বর্বোরোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটান হয়েছে। জড়িতরা বাংলাদেশের উন্নয়নের পক্ষের কোনো লোক না। তারা দেশকে অকার্যকর করতে অপচেষ্টা চালিয়েছে। অনেকে মনে করছে ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে বেঁচে যাবে। সেটা হবে না। মামলা হয়েছে। ডিবি তদন্ত করছে। আমরা জড়িত কাউকে ছাড় দেব না।
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। এ আন্দোলনকে ঘিরে তারা রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করে, এসব কিছুই পরিকল্পিত। এ ঘটনায় ইন্ধনদাতা, অস্ত্রদাতাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ