জাহাজ থেকে নেমেই দুই মেয়েকে জড়িয়ে ধরে এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান বলেন, এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। বাবাকে কাছে পেয়ে দুই মেয়ের উচ্ছ্বাসেরও যেন বাঁধ ভেঙেছে। পিতার দুই গালে ভালোবাসার চুমুতে ভরিয়ে দেয় তারা।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালের জেটি চত্বরে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল চারটায় দেখা যায় এমন দৃশ্য। ওই সময় জেটিতে ভেড়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত নাবিকদের বহনকারী জাহাজ।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার এক মাস পর দেশে ফিরেছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকেরা। তাঁরা এমভি জাহান মণি-৩ লাইটার জাহাজে করে এসেছেন। এর আগে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে নেমে তাঁরা এমভি জাহান মণি-৩ লাইটার জাহাজে ওঠেন।
দস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর এমন দিন আর ফিরে পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল আতিকের। তবে এসব উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার অবসান ঘটেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রিয়জনদের কাছে ফিরেছেন আতিক উল্লাহ খান। বাবাকে ফিরে পেয়েছে দুই মেয়ে ইয়াশরা ফাতেমা ও উনাইজা মেহবিন।
বাবার আসার দিনক্ষণ আগে থেকেই জানা ছিল। তাই স্বজনদের সঙ্গে জেটি চত্বরে চলে আসে ইয়াশরা ও উনাইজা। জীবনের রঙিন দিনটিকে স্মরণীয় করতে রঙিন ফুল নিয়ে এসেছিল তারা। তা দিয়ে বাবাকে বরণ করে নেয় দুই কন্যা।
এই আনন্দের দিনে আতিক উল্লাহ খান শুধু বললেন, এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ