ডাক বিভাগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দেশে এসেছিল শিশুদের খেলনার মোড়কের মতো একটি পার্সেল। কিন্তু সেই প্যাকেটে খেলনা জায়গায় ছিল মাদক। মাদকের মধ্যে ছিল গাঁজার নির্যাসযুক্ত (টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল) কুশ, গাঁজার কেক (ক্যানাবিস কেক) ও চকলেট (ক্যানাবিস ইনফিউজড গামিজ)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
মাদক আনার ঘটনায় ‘জড়িত’ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গতকাল সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ইমরান আহমেদ রাজ (২০), মো. রাসেল মিয়া (২৯) ও মো. রমজান মিয়া (২০)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ডাকযোগে সন্দেহজনক একটি পার্সেল আসার তথ্য আমাদের কাছে ছিল। পার্সেলটি এমনভাবে মোড়কজাত করা হয়েছিল, যাতে যন্ত্রের পরীক্ষায় (স্ক্যান) ধরা না পড়ে।
মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, ডাক বিভাগের সহযোগিতায় পার্সেলটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা নিশ্চিত হই যে, সেগুলো মাদক।
তিনি আরও বলেন, পার্সেলটির ওপর কোনো ঠিকানা লেখা ছিল না। শুধু একটি মুঠোফোন লেখা নম্বর ছিল। এর সূত্র ধরেই আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজার থেকে মো. রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তার কথার সূত্র ধরেই বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জব্দ মাদকের মধ্যে ছিল ১ হাজার ৩৫০ গ্রাম কুশ, ২৮ গ্রাম ওজনের ৯টি গাঁজার চকলেট এবং ৬০ গ্রাম ওজনের ১০টি গাঁজার কেক।
এক প্রশ্নের জবাবে ফারুকী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ ধরনের মাদক কার মাধ্যমে আসে, কারা সেবন করে, সে বিষয়গুলো তাঁরা নিশ্চিত হতে পারেননি। গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ