স্ত্রী মুক্তা বেগম ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ঈদের আগে বাড়িতে যাননি পোশাক কারখানার কর্মী বিল্লাল হোসেন (৩০)। যাত্রীর চাপ কম থাকবে বলে ঈদের দিন বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু হুড়োহুড়ি এড়াতে গিয়ে এক সঙ্গে মরতে হলো পুরো পরিবারকে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সদরঘাটের পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় লঞ্চের ছিঁড়ে যাওয়া মোটা রশির আঘাতে বিল্লালের সঙ্গে তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫) এবং একমাত্র শিশুসন্তান মাইশারও (৪) মৃত্যু হয়েছে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের কর্মী মো. মিলন বলেন, ছোট্ট মাইশার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। কেবল মাইশা নয়, লঞ্চের রশির আঘাতে মারা যাওয়া কারোরই শরীরে তেমন আঘাতের চিহ্ন নেই। তিনজনই মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে মারা গেছেন।
নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আশিক সাঈদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ফারহান-৬ ও তাসরিফ-৪ লঞ্চের চালকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। লঞ্চ দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা অবহেলাপূর্বক বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে লঞ্চ চালানোর ফলে লঞ্চের পুরোনো রশি ছিঁড়ে গিয়ে সেটার আঘাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্য নিহতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুরের রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালী সদরের মো. রিপন হাওলাদার (৩৮)।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ