উদ্বোধনের বছর খানেকের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ঘাটারচর-কাঁচপুরে ঢাকা নগর পরিবহনের ২২নম্বর রুট। ধুঁকছে বাকি দুটি রুটও। বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে এ সব রুটে অন্য পরিবহনের যানবাহন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে উদাসীন ট্রাফিক বিভাগ।
এ যেন অনিয়মের বেড়াজাল ভেঙ্গে সামনে এগুতে না পারা এক মহানগর। যেখানে জনবান্ধব বহু উদ্যোগই থমকে যায় অদৃশ্য ইশারায়। এই যেমন বেসরকারি দুই পরিবহনের চাপে বেহাল দশায় ঢাকা নগর পরিবহনের ২১ নম্বর রুট। তাদের একটি রমজান পরিবহন। হেমায়েতপুর থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও রুট না মেনে যাত্রী তুলছে ঘাটারচর-বসিলা থেকে। কারণ জানতে চাইলে যুক্তির শেষ নেই।
ওই বাসের চালক বলেন, গাবতলীতে ব্রিজের কাজ চলছে। এছাড়া সড়কের কাজও চলছে এর জন্য সেখানে যানজটের কারণে দিন শেষ হয়ে যায়। এই কারণে এই রুটে বাস চালাতে হচ্ছে। এদিকে নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রজনীগন্ধা পরিবহনও। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও এটিও চলে এসেছে ঘাটারচরে।
অথচ শুরুর সময় ঢাকঢোল পিটিয়ে বলা হয়েছিলো ঢাকা নগর পরিবহনের রুটে চালানো যাবে না অন্য পরিবহনের বাস। এরপরও ২১ নম্বর রুটের সাথে মিলিয়ে ঘাটারচর, জিগাতলা, শাহবাগ, মতিঝিল রুটে যাত্রী পরিবহন করছে পরিবহন দুটো। নগর পরিবহনের চালক বলেন, রজনীগন্ধা পরিবহন চিটাগাং রোড থেকে ছেড়ে আসে। তারা কাউন্টারের সামনে থেকে যাত্রী টেনে টেনে নিয়ে যায়। এসব কারণে আমাদের সার্ভিস ডাউন হয়ে গেছে।
এদিকে নানা অনিয়ম আর বেশকিছু অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়ায় সরে গেছে ২২ নম্বর রুটে ৩০টি নতুন বাস নিয়ে প্রকল্পে থাকা হানিফ পরিবহন। তাদের দাবি কথা রাখেনি সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টরা।
ওভি মটোরসের তত্ত্বাবধায়ক মো. সাফাত আলী বলেন, হানিফ পরিবহনের সংশ্লিষ্টরা ব্যক্তিরা জানান, তাদের যে ২২ নম্বর রুট দিয়েছিল সেই রুটে অন্য বাস চলা নিষিদ্ধ ছিলো। কিন্তু পরে দেখা গেছে পরে ওই রুটে আরও প্রায় ৬/৭টা পরিবহন চলা শুরু করে। এ বিষয়ে ঢাকা নগর পরিবহন সমন্বয় কতৃপক্ষের দাবি, অনিয়ম ঠেকাতে দায়িত্ব নিতে হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেই। যদিও সরেজমিনে দেখা যায়, অন্য বহু কাজেই তাদের উতসাহ থাকলেও নজরদারিতে একেবারেই উদাসীন।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভিন বলেন, এখানে কিছু লোক আছে যারা সিস্টেমটাকে সুন্দরভাবে চলতে দিচ্ছে না। কোনো সিস্টেমে আসতে হলে ভাঙা গড়া চলবে। সেই ভাড়া গড়ার মধ্যে আছি এখন। হয়তো আগামী বছরের মধ্যে আমরা ভালো পর্যায়ে যেতে পারবো।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ