পবিত্র রমজান শুরু হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার ছিল প্রথম রোজা। প্রথম রোজায় পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে চান সবাই। কিন্তু প্রথম দিনেই তীব্র যানজটে নাকাল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে হয়েছ রাজধানীতে। বাসা তো দূর, রাস্তাতেই ইফতার করতে হয়েছে অনেককে। মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছেন বিষয়টি নিয়ে।
মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় একাধিক মেগা প্রকল্প যুক্ত হলেও নগরবাসীর পিছু ছাড়েনি রমজানকেন্দ্রিক যানজট। মুষ্টিমেয় মানুষ যাতায়াত নিয়ে স্বস্তিতে থাকলেও অধিকাংশের দুশ্চিতার কারণ অফিস শেষে ইফতারের আগে বাসায় ফেরা নিয়ে।
রাজধানীর বাসিন্দারা বলছেন, উন্নয়নমূলক কাজ হলেও যানজট কমেনি। মেট্রো স্টেশনের আশপাশের মানুষজন একটু সুবিধা পেলেও বেশিরভাগ মানুষই আগের মতো ভোগান্তিতে আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর বাড্ডা, পুলিশ প্লাজা, গুলশান তেজগাঁও লিংক রোড, শাহবাগ থেকে ফার্মগেট, বিজয় সরণি, খিলক্ষেত, মগবাজার, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান ও ধানমন্ডিসহ বেশকিছু সড়কে রোজার প্রথম দিন ইফতারের আগে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকে বলছেন, রমজান এলে আতঙ্ক বেড়ে যায়! অফিস শেষে বাসায় গিয়ে ইফতারের ব্যবস্থা করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই বাসায় গিয়ে ইফতার করা যাবে কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহে অনেকের।
বিশ্বরোডে অফিস শেষ করে যাত্রাবাড়ি নিজ বাসার দিকে রওনা করেছেন আরিফুল ইসলাম। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, রামপুরা বিশ্বরোড রাস্তাটা এমনিতেই যানজটে পূর্ণ থাকে। এর মধ্যে আবার রোজা। বাসায় গিয়ে ইফতার করবো বলে অফিস থেকে বের হয়েছি। মনে হচ্ছে রাস্তাতেই ইফতার করতে হবে।
ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজ প্রথম রোজার ইফতার হিসেবে সড়কে কিছুটা যানজট রয়েছে। আমাদের সকল পর্যায়ের সদস্যরা সড়কে কাজ করছেন।
ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জয়নুল আবেদীন বলেন, ইফতারের আগে সড়ক স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন ট্রাফিক সদস্যরা। কিছু সড়কে তীব্র যানজট আছে, আর কিছু সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, রমজান মাসে আমাদের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ কাজ করছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতা দরকার। যারা গাড়ি ব্যবহার করছেন, যারা গাড়িতে চড়ছেন এবং যারা রাস্তার আশপাশে ব্যবসা করছেন তাদের সহযোগিতা দরকার। তা নাহলে ৩০৬ বর্গকিলোমিটার জায়গার ভেতরে যেখানে সোয়া দুই কোটি লোক বসবাস করে সেখানে পুলিশ রাতারাতি ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করে দিতে পারবে না।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ