ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৬ রজব ১৪৪৬

রমজানেও স্বস্তি ফিরছে না নিত্যপণ্যের বাজারে

প্রকাশনার সময়: ০৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৪১ | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:০১

রমজান মাস এলেই যেন শুরু হয় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা। সেই প্রবণতা রমজান আসার কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে মাছ-মাংসসহ সব ধরনের সবজির দাম। বাজার করতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ছে নিম্নবিত্ত খেটে-খাওয়া মানষের মাথায়। তারা বলছেন, রোজার আগে থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে বাড়তে থাকলে রোজা রাখা দায় হয়ে পড়বে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় দেখা গেছে, তেলাপিয়া মাছের কেজি ২০০ টাকা, পাঙাসের কেজি ১৮০ টাকা, টেংরার কেজি ৫৬০ টাকা, ছোট রুই ৩১০ থেকে ৩২৯ টাকা, ইলিশের কেজি ১৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে ছোট কাচকি ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা, আইড় মাছ ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমানে খুচরা বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এই মুরগি পাওয়া গেছে ১৯০-২০০ টাকায়। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। বেড়েছে ডিমের দামও। যদিও বাজার ভেদে দেখা গেছে দামের ভিন্নতা। বড় বাজার গুলোতে ৪৮ টাকা আর এলাকা বা মহল্লার দোকানগুলোতে ৫০ টাকা হালিও ডিম বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৬০ টাকায় কেজিতে।

সুমুন নামের এক ক্রেতা বলেন, যেভাবে দাম বাড়ছে রমজানে ব্রয়লার মুরগি দাম ২৬০-২৭০ টাকা হয়ে যাবে। ফলে, আমাদের মতো মানুষের জীবন বাঁচানো কষ্ট হয়ে যাবে। ছেলে-মেয়েদের মাছ-মাংস খাওয়ানো যাবে না। সবজি দিয়ে ভাত দিতে পারবো কি না জানি না।

রোজাদারদের জন্য তাৎক্ষণিক পুষ্টির জোগান দেওয়া সুস্বাদু খেজুর এবার ভোক্তাদের কাছে তেতোর সামিল। বছরে দাম হয়েছে দ্বিগুণ। গত বারের ২০০ টাকার খেজুর এবার ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে কাওরান বাজারের এক ক্রেতা বলেন, এখন খেজুর নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য নয়। শুধু উচ্চ বিত্তরাই এখন খেজুর খাবেন।

শুধু মাছ-মাংস নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে সবজির দামও। গত সপ্তাহে তুলনায় প্রতিটি সবজিতে প্রকারভেদে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আর বিক্রেতারা বলছেন, শীত শেষ এখন দিনদিন সবজির সরবরাহ কমছে। তাই দাম একটু তো বাড়বেই। বাজারের চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা, বেগুন লম্বাটা ৮০ টাকা, গোল বেগুন ১০০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, পাতা কপি ৫০ টাকা, সিম প্রকারভেদ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে সিমের বিচি কেজি ২২০ টাকা, মটরশুঁটি ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা আলাউদ্দিন খোকন বলেন, আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হয়। তাহলে বলেন, কম দামে কীভাবে বিক্রি করবো?

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ