রাজধানীর বেইলি রোডে ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য পেয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুই দোকান মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন। আগুন লাগার পর নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় দোকানের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের সূত্রগুলোও বলছে একই কথা। তারা জানায়, চুমুক নামের দোকানটির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। তদন্ত কমিটি এখন পর্যন্ত ১০ জনের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এদিকে মামলাটি থানা–পুলিশ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী বলেন, মামলাটি এখন সিআইডি তদন্ত করবে।
অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে ঘটনার দিন রাতেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, সিআইডির কয়েকটি টিম এখন পর্যন্ত ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে। গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলেই আসল কারণ জানা যাবে।
এর আগে, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু।
এ ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে গত ১ মার্চ রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ