বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পর পেরিয়ে গেছে ৭১ (একাত্তর) বছর। সাত দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো প্রত্যাশা পূরণ হয়নি ভাষা আন্দোলনের। যুগের পর যুগ পেরিয়ে গেলেও নিশ্চিত করা যায়নি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন। এমনকি যথাযথ প্রয়োগে বাংলা ভাষার মজবুত কোনো ভিত্তি গড়ে তোলাও সম্ভব হয়নি। বিদেশি ভাষার আগ্রাসন, ইংরেজি-বাংলা মিশিয়ে জগাখিচুড়ি শব্দ প্রয়োগ বাংলা ভাষাকে যেন ঠেলে দিচ্ছে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে।
জানা গেছে, বাংলা ভাষার ব্যবহার সর্বস্তরে নিশ্চিত করাসহ প্রশাসন, রাষ্ট্র পরিচালনা, শিক্ষা-প্রযুক্তির প্রসার, ভাষার উন্নয়ন আর পাহাড়িদের ভাষার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে আজ পর্যন্ত করা হয়নি জাতীয় ভাষানীতি। অথচ ‘মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা’ স্লোগানে অনুপ্রাণিত হয়ে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠায় বুকের তাজা রক্ত ঢেলে রাজপথ রাঙিয়েছিল বাংলা মায়ের দামাল সন্তান সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিক, সালাহউদ্দিনরা। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃত পেলেও আজো সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন হয়নি। ভাষাবিদরা বরাবরই ভাষানীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়ে এলেও আজ পর্যন্ত তা দাবিতেই বন্দি হয়ে আছে।
প্রচলিত এবং অর্থবোধক বাংলা শব্দ থাকার পরও সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম ইরেজি কিংবা বাংলা ইংরেজির মিশেলে। ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই’, ‘সিনিয়র ফ্যাইন্যান্স কন্ট্রোলার-আর্মি’র মতো ইংরেজি নামের দৃষ্টান্ত অনেক। আবার ‘সিনিয়র অর্থ নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়’-এর মতো বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে রাখা নামও কম নয়। যেমন ‘জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে’র পাশে ‘জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট’। ‘ভাগ্যকুল’ বা মুসলিম ‘সুইটস’ মিষ্টান্ন হতে পারেনি। ‘ইব্রাহিম হূদরোগ সেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান’ নামের পরিবর্তে ‘ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’ রাখার সার্থকতাও জানা যায়নি। খোদ রাজধানীতে এমন হাজারো উদাহরণ। সাইনবোর্ড, বিলবোর্ডে এখন ইংরেজিতে লেখার হিড়িক। অনেকে আবার ইংরেজি শব্দ ইংরেজি হরফে না লিখে বাংলায় লেখেন। বাংলা বানানে দিব্যি চালিয়ে দিচ্ছেন ইংরেজি শব্দমালা। কোথাও কোথাও বাংলা পুরোপুরিই উধাও।
ভাষা সংগ্রামী অধ্যাপক আবদুল গফুর বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা জাতীয় এবং জীবিকার ভাষা না হওয়ায় এ দুর্দশা। ঔপনিবেশিক মনোভাব থেকেই নিজের ভাষার প্রতি এমন অবজ্ঞা।
ভাষাবিদরা বলছেন, বিদেশি ভাষার ব্যবহারে রক্ষণশীলতা নয় বরং সচেতনভাবে শুদ্ধ বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। ভাষার সাবলীলতা ক্ষুণ্ন না করে বাংলা ব্যবহার নিশ্চিত করারও তাগিদ তাদের।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সরকার সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সংবিধান, ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ২০১৪ সালে উচ্চ আদালতের রায় এবং ডজন খানেকেরও বেশি সরকারি আদেশ, পরিপত্র বা বিধিতে বাংলা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবুও সরকারি কাজের সবক্ষেত্রে আজও নিশ্চিত করা যায়নি রাষ্ট্রভাষা বাংলার ব্যবহার।
এদিকে সরকারি আইন বা অধ্যাদেশগুলো বাংলায় প্রমিতিকরণ করতে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠা হয় বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ (বাবাকো)। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৩৮ বছরে এ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৪টি এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ৫৭টি আইন বা অধ্যাদেশ প্রমিতিকরণ করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাবাকো এ পর্যন্ত প্রশাসনিক পরিভাষা, পদবি পরিভাষা ও সরকারি কাজে ব্যবহারিক বাংলা এ তিনটি পুস্তিকা বের করেছে। এছাড়া সচিবালয় নির্দেশিকা ২০১৪ প্রণয়নে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে বাবাকো।
জানা গেছে, ১৯৭৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নয়টি প্রস্তাব গৃহীত হয়। যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া ও ইংরেজি ভাষার ওপরে বাংলাকে স্থান দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ছিল। একই বছরের ৩ মে বঙ্গভবন থেকে জারি করা আদেশে রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করা সব নোট, সারসংক্ষেপ বা প্রস্তাবাদি বাংলায় করতে বলা হয়। পরদিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের স্মারকলিপিতে রাষ্ট্রপ্রতির কাছে পেশকৃত নথিপত্রের নোট শিট এবং সারাংশ বাংলায় লিখতে বলা হয়। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর অফিস আদালতের সব কাজ সাধু ভাষায় সম্পন্ন করতে বলা হয়। এরপর ১৯৯৬ সালের ২৮ মে সচিব কমিটির সভার সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিক দলিলাদির ক্ষেত্রে অফিস-আদালতে সর্বত্র সাধু ভাষা ব্যবহার করা ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে এর বাধ্যবাধকতা থাকবে না— বলে জানানো হয়। ১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বাংলায় একটি মামলার রায় দেয়। এছাড়া ২০১৩ সালে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে বাংলার প্রচলন, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার গাড়ির নম্বর প্লেট, বিভিন্ন দপ্তরের নামফলক, গণমাধ্যমে ইংরেজি ভাষায় বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর একই বছরের ১৪ মে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডগুলোকে সাইনবোর্ড ও নামফলক বাংলায় লেখা নিশ্চিত করতে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (নিমকো) পরিচালিত সর্বশেষ নমুনা জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীর কাঁটাবন থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ৫০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৫১টির নামফলক লেখা হয়েছে বাংলা হরফে। ইংরেজিতে লেখা নামফলকের সংখ্যা ২৮০টি। অন্যদিকে, বাংলা ও ইংরেজি মিশিয়ে ‘বাংলিশ’ ধরনের নামফলক রয়েছে ১৬৯টি।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ও ভাষা সংগ্রামী আবদুল গফুর বলেন, ষাটের দশক থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে দেশের প্রায় সব সাইনবোর্ড বাংলায় লেখা হতো। দুই দশক আগেও বাংলা ভাষায় লেখা প্রচুর সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড চোখে পড়ত। ইংরেজি বানানে বাংলাও খুব একটা চোখে পড়ত না।
তিনি বলেন, ওই সময় একুশে ফেব্রুয়ারি আসার আগেই যেসব দোকানে বা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে ভুল বানান থাকত, সেসব দোকান বা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শঙ্কিত হয়ে পড়ত। কারণ একুশের প্রভাতফেরি থেকে ছেলেমেয়েরা ভুল বানানের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলতে পারে। তখন শঙ্কিত প্রতিষ্ঠান মালিকরা নিজ উদ্যোগে ভুল বাংলা বানান সংশোধন করতেন। সাইনবোর্ডও লেখা হতো বাংলাতেই।
এদিকে আধুনিকতার নামে চলা বাণিজ্যনির্ভর শিক্ষার দাপটে শিক্ষাঙ্গন থেকে বিদায় নিচ্ছে বাংলা। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষা চরমভাবে উপেক্ষিত। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের তালিকায় বাংলা নাম খুঁজে পাওয়া মুশকিল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের ৯৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৮৭টিতেই নেই বাংলা বিভাগ। অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার প্রধান মাধ্যম ইংরেজি। ইংরেজির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও বাংলাকে উপেক্ষা করা ঠিক হচ্ছে না বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. এ এস এম আতীকুর রহমান বলেন, শিক্ষার জন্য মাতৃভাষাই প্রধান মাধ্যম হওয়া উচিত। চাহিদার কথা বলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইংরেজিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার কারণে সমস্যায় পড়ছে। কারণ তারা ইংরেজি ভালো করে জানে না, বোঝেও না। এতে তাদের সমস্যা আরও বাড়ছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এগুলোতে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও ভৌগোলিক বিষয় থাকতে হবে।
বাংলাদেশের সংবিধানে ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ বলে উল্লেখ রয়েছে। এতে আরও বলা হয়— সংবিধানে বাংলা ও ইংরেজি উভয় পাঠের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে প্রাধান্য পাবে বাংলা পাঠ।
জানা গেছে, একাত্তরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি, আমাদের হাতে যেদিন ক্ষমতা আসবে, সেদিন থেকেই দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু হবে।’ একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ঘোষণা দেন, ‘বাংলা হবে দেশের রাষ্ট্রীয় ও সরকারি ভাষা।’ এরপর ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের এক আদেশে এবং পরবর্তীতে ৭৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিপরিষদের সভাসহ বিভিন্ন সরকারের আমলে সর্বস্তরে বাংলা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়। সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য ১৯৮১ সালে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ‘বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২০০০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইউনেস্কোর তৎকালীন মহাসচিব কোইচিরো মাতসুয়ারা ১৮৮ দেশের কাছে চিঠি দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি পালনের আহ্বান জানান। বাহাত্তরের মূল সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এ আইনের ৩(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘এ আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস-আদালত, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যতীত অন্য সব ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন আদালতের সওয়াল জওয়াব এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে।’ এছাড়া ‘উল্লেখিত কোনো কর্মস্থলে যদি কোনো ব্যক্তি বাংলা ভাষা ব্যতীত অন্য কোনো ভাষায় আবেদন বা আপিল করেন, তাহলে উহা বে আইনি ও অকার্যকর বলে গণ্য হবে।’ অনুসন্ধানে জানা যায়, শুদ্ধ বাংলা ভাষা শুধু অফিসের ফাইলবন্দি। বাস্তবে কোথাও নেই শুদ্ধ বাংলা ভাষার চর্চা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুদ্ধ বাংলা ভাষা শিক্ষা লাভ করলেও দৈনন্দিন জীবনে কোথাও নেই শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষার ব্যবহার। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যমে প্রচারিত সিনেমা, নাটক, বিজ্ঞাপন, টকশ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চলছে আঞ্চলিক ভাষার মহাউৎসব। আর দিনদিন এগুলো বাড়ছেই। এসব কাণ্ড দেখে শুধু বিদেশিরা নয়, নিজ দেশের অন্য অঞ্চলের মানুষদেরও কথা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। আবার অনেক বিদেশিরা আগ্রহী হয়ে বাংলা ভাষা শিখতে চাইলেও পাঠ্যবইয়ের শব্দের সঙ্গে চলমান ও প্রচলিত কথাবার্তার মিল না পাওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছেন। এতে করে হারিয়ে যাচ্ছে ভাষার প্রাণ ও মর্যাদা। ফলে সম্ভাবনা সত্ত্বেও বাংলা ভাষা বিকশিত হচ্ছে না।
বিশিষ্টজনদের মতে, দীর্ঘদিন বাংলা ভাষার প্রতি করণীয় ও ব্যবহারের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এমনটি হয়েছে। তাই বাংলাভাষার স্থায়ীত্ব, মর্যাদা ও নান্দনিকতা রক্ষার্থে অবিলম্বে রাষ্ট্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী বলেন, এখনো আমাদের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ বাংলা লিখতে পড়তে পারে না।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ