ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিউনিখে জেলেনস্কির সঙ্গে বসবেন শেখ হাসিনা 

প্রকাশনার সময়: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪০ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৯

জার্মানির মিউনিখ শহরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ বৈঠক ঢাকার সঙ্গে মস্কোর সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফর ঘিরে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতির আমন্ত্রণে সেখানে যাচ্ছেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমানে তিনি বৃহস্পতিবার মিউনিখের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মিউনিখ ত্যাগ করবেন এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন।

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী সফরকালে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের উদ্বোধনী আয়োজনে অংশ নেবেন এবং ক্লাইমেট ফাইন্যান্স সংক্রান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন বিষয়ে আমাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন আসছে কি না- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবস্থান সবসময় পরিষ্কার। আমরা সবসময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা চাই পৃথিবীতে শান্তি এবং স্থিতি বিরাজ করুক। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের জন্য সময় চেয়েছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে সময় দিয়েছেন। সেখানে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনাই হবে।

জেলেনস্কির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের ফলে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো দূরত্ব তৈরি হবে কি না- জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে হেরফের হওয়ার প্রশ্নই আসে না। রাশিয়া আমাদের অত্যন্ত বন্ধুপ্রতীম দেশ। রাশিয়া মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের দেশ পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এমনকি চট্টগ্রামে মাইন অপসারণের সময় রাশিয়ার একজন নাগরিক মারাও যান। সুতরাং মস্কোর সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ এবং ঐতিহাসিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সম্পর্কের বন্ধনে আমরা আবদ্ধ হয়েছি সেই বন্ধন অনেক দৃঢ়। এখানে সম্পর্ক হেরফের হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, আমরা বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করবো। বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে চলমান সংঘাতগুলো বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলেছে। বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকিতে পড়লে বৈশ্বিক স্থিতি, অগ্রগতি ও উন্নতিও হুমকির মুখে পড়ে। এ বিষয়গুলো মিউনিখের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ