ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৫ রজব ১৪৪৬

উচ্ছেদ আতঙ্কে দখলদাররা

প্রকাশনার সময়: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৬

ওয়াসাসহ একাধিক সংস্থার কাছ থেকে খালের মালিকানা পায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বুঝে নেয়ার পর খাল উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দুই সিটি। খালের দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই দুই মেয়র খাল নিয়ে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় কাজ শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় খালের সীমানা নির্ধারণে কাজ শুরু করছে দুই সিটি।

রাজধানীর এসব খাল দখল করে বছরের পর বছর ধরে গড়ে উঠেছে হাজারো বহুতল ভবন ও মার্কেট। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে খালের সীমানা নির্ধারণের কাজ। সীমানা নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন হলেই দুই সিটির শুরু হবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ। আর তাই উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছে খাল দখল করে গড়ে ওঠা হাজারো ভবন ও মার্কেট মালিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীতে পর্যাপ্ত খাল না থাকায় প্রতি বর্ষায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এক সময় দুই সিটি এলাকায় খাল ছিল ৪৪টি। এসব খাল দখল হতে হতে এখন ২৬টি রয়েছে। যে কয়টি খাল রয়েছে তাও ময়লা আবর্জনায় দূষণে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর ২৬টি খাল ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে বুঝে নিয়েছে দুই সিটি। তবে দায়িত্ব নিয়ে দুই সিটি করপোরেশনের জোরদার অভিযানে অনেকটাই বদলেছে খালের চিত্র। এতে দখলদারদের অনেকটাই রোধ করা গেলেও খালে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে পারছে না দুই সিটি।

অবিভক্ত সিটি করপোরেশনের ২০০৮ সালের এক জরিপে বলা হয়, রাজধানীতে একসময় ৪৪টি খাল ছিল। যার মধ্যে ৩৫টি খাল শুকিয়ে গেছে। অনেক খাল ভরাট করে সড়ক, ড্রেনেজ লাইন করে ফেলা হয়েছে। তবে ঢাকা ওয়াসা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের যৌথ জরিপের তথ্যমতে, খালের সংখ্যা ৪৩। বর্তমানে ২৬টি খাল আছে শুধু তালিকায়, বাস্তবে নেই। এর মধ্যে ১৩টি খালের প্রস্থ ১০ ফুটের বেশি নয়।

অবৈধ দখল উচ্ছেদের পাশাপাশি ঢাকার খাল নিয়ে বৃহত্তম পরিকল্পনা প্রণয়ন হচ্ছে। ঢাকার দুই সিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার খালগুলো কেবল উদ্ধারই নয়, দুই পাড় দৃষ্টিনন্দন করারও মহাপরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ওয়াকওয়ে ও সাইকেল লেন তৈরি, মাছ ধরার শেড, বাগান, ফোয়ারা, ইকোপার্ক, পাবলিক টয়লেট ও খেলার মাঠ তৈরি, আলোকসজ্জা ব্যবস্থা ও দুই পাড় বাঁধাই করে সবুজায়নসহ আরও নান্দনিক স্থাপনা গড়ার কথা জানান তারা। তাছাড়া স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সংস্থা দুটি।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নয়া শতাব্দীকে বলেন, আমরা এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি খাল উদ্ধার করে সেগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে ৯৮১ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছি। প্রকল্পটি পাস হলে খাল উদ্ধার করে দুই পাড়ে বানানো হবে ওয়াকওয়ে, বাইসাইকেল লেন, মাছ ধরার শেড, বাগান, ফোয়ারা, ফুটওভার ব্রিজ, ইকোপার্ক, পাবলিক টয়লেট, খেলার মাঠ।

জানা গেছে, ডিএসসিসির কালুনগর, জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খালের জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অঞ্চল ৩-এর কালুনগর খালটি শহীদ বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে রায়েরবাজার স্লুইচ গেট পর্যন্ত বিস্তৃত। অঞ্চল ৬-এর জিরানী খালের (নন্দীপাড়া ব্রিজ ত্রিমোহনী) দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ২০ মিটার।

অঞ্চল ৭-এর মান্ডা খালের দৈর্ঘ্য ৮ দশমিক ২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ২৫ মিটার। অঞ্চল ১০-এর শ্যামপুর খালের দৈর্ঘ্য পাঁচ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১২ মিটার। কালুনগর খালের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭১ কোটি ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। জিরানী খালের ব্যয় ২১৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। মান্ডা খালের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। শ্যামপুর খালের জন্য ২৩০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। কনসালট্যান্সি ফার্মের জন্য রাখা হয়েছে ১৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অপরদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কয়েকটি (সম্ভাব্য আটটি) খাল নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে।

এ খালগুলোরও পাড় সংরক্ষণসহ নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা। তিনি বলেন, আমরা তিন ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে খাল উদ্ধার ও দূষণমুক্ত করছি। স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় পর্যায়ক্রমে সব খালের সীমা নির্ধারণ করে সেগুলোর সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। খালের সীমা নির্ধারণের কাজটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী করবে।

সীমা নির্ধারণ করেই খালের দুই পাশে সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি। তবে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, খালের পাশে ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন ও পার্কসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে খালের মূল সীমানা সংকুচিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সদ্য নির্বাচিত সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান নয়া শতাব্দীকে বলেন, রমনা পার্কে খালের ওপরই একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।

এসব কাজের ফলে খালের প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদীর পাড়ে নির্মিত ওয়াকওয়ে এবং খালের পাড়ে নির্মিত ওয়াকওয়ের প্রকৃতি আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই খালের প্রবাহ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিক বিবেচনা করে যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করতে হবে।

খাল সংরক্ষণে নির্মিত অবকাঠামো খালের প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। খালের পাশে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে দুই সিটিকেই হাইড্রোলজিক্যাল অ্যানালাইসিস করে কাজ করতে হবে বলে জানান নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, একটি খালের মৌলিক বৈশিষ্ট্য দুটি। পানি ধারণ ক্ষমতা এবং প্রবাহ বজায় রাখা। খালকে কেন্দ্র করে যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে অবশ্যই এ বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। ওই অবকাঠামো যেন কোনোভাবেই খালের পানি ধারণ ক্ষমতা এবং প্রবাহ বাধাগ্রস্ত না করে। তবে দুই সিটির খালের সীমানা নির্ধারণ করে সীমানা পিলার বসানোর কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

সম্প্রতি এক উদ্ধার অভিযানে উপস্থিত থেকে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, খালের সীমানা নির্ধারণে কোনো ‘কম্প্রোমাইজ’ করা হবে না। সিএস ও আরএস মানচিত্র দেখে খালের সীমানা নির্ধারণ ও খাল উদ্ধার করা হবে।

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই খাল অবৈধভাবে দখল করে আছেন। যারা অবৈধ দখলদার, তারা বিষয়টি নিজেরাই জানেন। তাই আমার কাছে না এসে নিজেরাই অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলেন। কারণ, খাল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। খাল জনগণের, সেটা জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দেয়া হবে।’

পরিবেশবিদদের তথ্যমতে, রাজধানীর খালগুলো পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। স্বাধীনতার পর ঢাকাকে রাজধানী করায় আস্তে আস্তে জমির দাম বাড়তে থাকে। আর রাজধানীকেন্দ্রিক ব্যবসা-শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় গ্রামবাংলার মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকায় জড়ো হতে থাকে। মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে অসাধু প্রভাবশালী মহল রাজধানীর খালগুলো দখল করে গড়ে তুলেছে অট্টালিকা।

কেউবা গড়ে তুলেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জলাশয় আইন থাকলেও বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না বলে মন্তব্য পরিবেশবাদীদের। বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে বাস ট্রাকমালিক সমিতি পর্যন্ত ভরছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলোর অনুমোদন নেই।

সরকারি বাহিনীরা তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে এগুলো করছে। আর তাই খাল উদ্ধারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি প্রশ্ন করেন, সরকার কি আজ পর্যন্ত কোনো জলাশয় আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে?

জলবায়ু ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, রাজধানীর খালগুলোর সঙ্গে আশপাশের চারটি নদীর সংযোগ ছিল। সূত্রাপুর থেকে লোহারপুল হয়ে বুড়িগঙ্গা, মোহাম্মদপুরের বসিলা হয়ে বুড়িগঙ্গা, উত্তরার-আবদুল্লাহপুর হয়ে তুরাগ, উত্তরখান হয়ে তুরাগ, খিলক্ষেত ডুমনি হয়ে বালু ও মানিকনগর হয়ে শীতলক্ষ্যা নদ-নদীতে চলাচল করা যেত।

বুড়িগঙ্গা নদীর বসিলা থেকে ধানমন্ডি, তেজগাঁও, রামপুরা হয়ে তুরাগ নদে মিলেছিল শুক্রাবাদ খাল। এ খালের রায়েরবাজার, জিগাতলা ও শুক্রাবাদ এলাকায় এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই। এসব খালের ৮০ শতাংশই স্থায়ী স্থাপনার দখলে চলে গেছে। মোহাম্মদপুর ও পিসিকালচার হাউসিংয়ের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত কাটাসুর খাল।

খালটি এখন নর্দমার আকৃতি পেয়েছে। এদিকে নগর সংস্থাগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, রাজধানীর ৪৩টি খাল দখল করেছে অন্তত ১০ হাজার ৫০০ জন প্রভাবশালী। যাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ২১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় সম্পন্ন হয়েছে এ দখল। ২০১০ সালে নগর সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সরকারি এক তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।

২০১২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন অবৈধ দখলদারদের ধরতে মাঠে নামলেও পরে রহস্যজনক কারণে তদন্ত থেমে যায়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ঢাকা জেলা প্রশাসন, জরিপ অধিদপ্তর থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা ছাড়া কার্যত কোনো অগ্রগতি হয়নি। সূত্রমতে, খাল বেদখলে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মহানগর জরিপের সময় জরিপ কাজে সংশ্লিষ্ট ২১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খালের জমি দখলের কাজে সহায়তা করেছেন। শুধু তাই নয় দখলকৃত কোনো কোনো খালের ওপর ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের পাকাকাঁচা স্থাপনা। তদন্ত রিপোর্টে দখলকারীদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য এবং এ কাজে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়েরও উল্লেখ করা হয়।

অপরদিকে রাজধানীর খাল ঢাকা ওয়াসার আওতাধীন থাকাকালে এক প্রতিবেদনে জানা যায়, কাটাসুর খালে বিভিন্ন ধরনের ৭৭টি, রামচন্দ্রপুর খালে ৩৭টি, বেগুনবাড়ী খালে ২০টি, বাসাবো খালে দুটি, শাহজাদপুর খালে চারটি, আব্দুল্লাহপুর খালে সাতটি, সেগুনবাগিচা খালে ১০টি, মহাখালী খালে ২৩টি, ইব্রাহিমপুর খালে ৩৬টি, কল্যাণপুর প্রধান খালে ২৬টি, কল্যাণপুর-খ খালে ৩৮টি, কল্যাণপুর-ঘ খালে ১২টি, কল্যাণপুর-ঙ খালে ১৪টি, কল্যাণপুর-চ খালে ১৯টি, জিরানী খালে ১৫টি, হাজারীবাগ খালে ১১৭টি অবৈধ অবকাঠামো রয়েছে।

জানা গেছে, এক সময় রাজধানীতে ৪৩টি খালের অস্তিত্ব ছিল। সেখানে বর্তমানে আছে ২৬টির অস্তিত্ব। সেগুলোরও কোনো না কোনো অংশ অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে। দখলদাররা খালের ওপর যেসব অবৈধ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে, তার মধ্যে আছে- বহুতল পাকা ভবন, আধাপাকা ঘর, কাঁচাঘর, টংঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সীমানা দেয়াল, দোকান, ওয়ার্কশপ, মাছের ঘের, রাস্তা, করাতকল, আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, পলিথিন কারখানা, রিকশার গ্যারেজ, ট্যানারি, বেকারি, আবাসিক ভবন ইত্যাদি।

ব্যক্তিমালিকানায় চলে যাওয়া খালগুলো ফিরে পেতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। খালগুলো দখলের পর অবকাঠামোর এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে যে, ওই স্থানে কখনো খাল ছিল তা বোঝার কোনো উপায় নেই।

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ