ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬

পিটারের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন পলক

প্রকাশনার সময়: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও সম্ভাবনার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক কোন দিকে যাচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন সরকারের নতুন মন্ত্রিসভার একজন এমপির একটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করা এবং তার মধ্য দিয়ে ব্যবসা, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-উদ্ভাবন এগুলো নিয়ে আলোচনা করার মধ্যদিয়ে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারছেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো রয়েছে। এবং আগামী পাঁচ বছর নতুন সরকারের সঙ্গে আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে সম্ভাবনার দ্বারগুলো উন্মোচিত হতে যাচ্ছে।

পলক বলেন, ‘আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে সেটাই মনে হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বের অন্যান্য দেশও খুব আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, তার যে বিভিন্ন কথা এবং আলোচনার বিষয়বস্তু- এগুলো থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং যে সম্ভাবনার সম্পর্ক- এটা আরও সম্প্রসারিত হবে ও ঘনিষ্ঠ হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রীর যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্প, সেটি পূরণের জন্য আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের যে হাত বাড়িয়েছি, সেখানে আমেরিকার বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে এবং আমরা একসঙ্গে মিলে কাজ করবো দুই দেশের জনগণের জন্য, বিশ্বের জন্য। আমার কাছে আজকের বৈঠক থেকে এটাই মনে হয়েছে।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে পলক বলেন, ‘আমাদের আলোচনার মূল তিনটি উদ্দেশ্য ছিল। আমেরিকা আমাদের সফটওয়্যার ও ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। যে ৬০টি দেশে আমরা সফটওয়্যার রপ্তানি করি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় আমেরিকায়। দেশটিতে আমাদের আউটসোর্সিংয়ের ক্লায়েন্ট অন্য দেশের তুলনায় বেশি। কীভাবে এটা আরও বাড়াতে পারি, সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’

দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসোর্স ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করার বিষয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকার তাতে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সঙ্গে আমেরিকা কীভাবে জি-টু-জি সহযোগিতা হতে পারে এবং আমেরিকার যে কোম্পানিগুলো আছে, বিশেষ করে- অ্যামাজন, স্টারলিংক, স্পেসএক্স, গুগল ও ফেসবুকের বিনিয়োগ কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি হতে পারে, সেগুলো নিয়ে কথা বলেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমেরিকার প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে। গত পাঁচ বছরে এ খাতে আটশ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশে এখন ওরাকল, মাইক্রোসফটসহ বেশকিছু আইটি কোম্পানি কাজ করছে। আরও অনেক কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আকর্ষণ করতে চাই। সবশেষে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রয়োজন- সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ