নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা আজ প্রথম অফিস করেছেন। তাদের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে নতুন মন্ত্রীদের অভিব্যক্তি জানতে সচিবালয়ে ভিড় করেন গণমাধ্যম কর্মীরাও। তাদের সামনে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা ও প্রত্যয় তুলে ধরছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) অফিসে যোগ দিয়েই ৭ দিনের মধ্যে ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা দেওয়ার ঘোষণা দেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা চাই এটা যাতে এক নম্বর মন্ত্রণালয় হয়। আমার পক্ষ থেকে আইনের প্রতি শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবো। মিডিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো।সাতদিনের মধ্যে একশ দিনের পরিকল্পনা দিতে চাই। এছাড়াও অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো।
নতুন কৃষিমন্ত্রী মোঃ আবদুস শহীদ বলেন, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এর আগে যিনি কৃষিমন্ত্রী ছিলেন, তিনি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মানুষ। আমি আশা করবো সব কর্মকর্তা আমাকে সাহায্য করবেন। আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক। লেখাপড়া করেছি, অধ্যাপনা করেছি, পিএইচডি ডিগ্রিও আমি নিয়েছি। সবকিছুতেই মোটামুটি টাচ দিয়ে এসেছি। চিফ হুইপ ছিলাম, সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অ্যাকটিভিটি ছিল আমার। তারপরও বলবো আমি এখনো শিখতেছি। শেখার শেষ নেই। আমি শিখেই কাজ করতে চাই।
মন্ত্রিসভার কনিষ্ঠতম সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, শিক্ষাবর্ষ মাত্র শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে কোনো সমস্যা মনে হলে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। নতুন কারিকুলাম হঠাৎ করে আসেনি। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকাটাই স্বাভাবিক। এগুলো মাথায় রেখেই দুর্বলতা ও সমস্যা থাকলে সমাধান করা হবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের প্রথমদিনই প্রধানমন্ত্রীর আস্থা পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নতুন সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
বিমানসেবা উন্নত করার জন্য কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নতুন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান। মন্ত্রী বলেন, আমি আগেও এই মন্ত্রণালয়ে ছিলাম। সুতরাং এখানকার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমি জানি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে যে কাজগুলো চলছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ হয় সেদিকটা দেখব। যাত্রী সেবা, লাগেজ হ্যান্ডেলিং কিভাবে আরো উন্নতি করা যায় এবং কিভাবে আরো নতুন নতুন ডেস্টিনেশনে বিমান যেতে পারে, সেগুলো দেখার চেষ্টা করবো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো চ্যালেঞ্জিং মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তাও পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কর্মপরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম সমুন্নত রেখে পূর্ব-পশ্চিম সবার সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো করার ক্ষেত্রে কাজ করে যাবেন তিনি।
এদিকে দেশি-বিদেশি সব চাপ মোকাবিলায় নতুন সরকার সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় বিদেশ থেকে চাপ আছে। আর দেশে তো আছেই। তবে আমরা সব চাপ মোকাবিলা করতে সক্ষম। কারণ জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো চাপই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সন্ধ্যায় শপথও নিয়েছেন নতুন সদস্যরা। এরপর তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ