কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক অংশগ্রহণ না হলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় এমন আখ্যায়িত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার (০৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি এই কথা বলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিইসির ভাষণটি সম্প্রচার করা হয়।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, এবারের নির্বাচনে ২৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ২৯৯টি আসনে এক হাজার ৯৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাটিয়ে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালনে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সিইসি আরও জানান, ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষভাবে ভোটের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্তসংখ্যক দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোট গ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল প্রকারের নির্বাচনী অনিয়ম-অনাচার প্রতিহত করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ওইদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে তার ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এমবি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ