রাত পোহালেই ২০২৪ সালের প্রথম দিনে উদযাপিত হবে ‘বই উৎসব’। বছরের প্রথম দিনেই তিন কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন শিক্ষার্থীর হাতে উঠবে নতুন বই। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়াবে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ। বই উঁচিয়ে শিক্ষার্থীরাও নতুন বছরে জ্ঞানার্জনে শপথ নিয়ে ঘরে ফিরবে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ‘বই উৎসব’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মূল উৎসব হবে সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায়। সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এসময়ে বই উৎসব শুরু হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বই উৎসবের আয়োজন করা হলেও মাধ্যমিকে তা থাকছে না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি না পাওয়ায় মাধ্যমিকের আয়োজন করা হয়নি।
এদিকে, নির্বাচনী তৎপরতায় এবার বই উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়লেও শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের কমতি থাকবে না। আয়োজন যেন ফিকে না হয়ে যায় সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখছে শিক্ষা প্রশাসন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, প্রাথমিক, মাদরাসা ও কারিগরি অধিদপ্তর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে বিনামূল্যে বই বিতরণের নির্দেশনা দিয়েছে।
শতভাগ উপজেলায় নতুন বই পৌঁছে দেওয়ার কাজে তৎপর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এনসিটিবি সূত্র জানায়, প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সবগুলো বই হাতে পেতে পারেন। তবে অষ্টম ও নবমের শিক্ষার্থীদের ৫-৬টা করে বই দেওয়া হতে পারে। পরে কয়েক ধাপে তাদের সব নতুন বই দেওয়া হবে।
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী সংখ্যা ধরা হয়েছে তিন কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন। তাদের জন্য বই ছাপা হয়েছে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি। প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো হয়েছে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৪২৩ কপি বই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লাখ ১ হাজার ২৭৪টি। প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮ কপি বই ছাপা হয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছয় কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৮ কপি, সপ্তম শ্রেণির চার কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার কপি, অষ্টম শ্রেণির জন্য পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ কপি এবং নবম শ্রেণির জন্য পাঁচ কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি বই ছাপা হচ্ছে। অন্যদিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (পাঁচটি ভাষায় রচিত) শিশুদের জন্য এবার মোট দুই লাখ পাঁচ হাজার ৩১ কপি বই ছাপা হচ্ছে। অন্য বইয়ের মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৫২ কপি ‘ব্রেইল’ বই ছাপা হবে। তাছাড়া শিক্ষকদের ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৮টি ‘শিক্ষক সহায়িকা’ দেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এমবি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ