ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চলতি বছরে কর্মক্ষেত্রে ঝরেছে ১৪৩২ শ্রমিকের প্রাণ

প্রকাশনার সময়: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:১০

২০২৩ সালে দেশে কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন সেক্টরে এক হাজার ৪৩২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০২ জন। গত বছর নিহত ৯৬৭ জন এবং আহত হয়েছিলেন ২২৮ জন।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি) কর্তৃক কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন ড. এসএম মোর্শেদ জানান, ২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ৩২৯ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ২৭৭ জন এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ১১০৩ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ২২৫ জন।

খাতভিত্তিক তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ৬৩৭ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছে ১২৭ জন, ২২০ জন দিনমজুর নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৭৬, নির্মানখাতে নিহত ১৪৯ এবং আহত ৭২ জন, কৃষিশ্রমিকের মৃত্যুর সংখ্যা ১৪৬, আহত হয়েছে ১০ জন (যাদের মধ্যে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৭১ জন), পোশাকশিল্পে নিহত ৬৪ ও আহত ৮৯ জন, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নিহত ৯৪ ও আহত ১৫ জন, মৎস্যখাতে নিহত ৫৩ ও আহত ২২ জন, সেবাখাতে নিহত ২৬ ও আহত ২২ জন, সিরামিকথাতে নিহত ১৭ ও আহত ৯ জন, চামড়াশিল্পে নিহত ৪ ও আহত ১৭ জন, ইটভাটা/ব্রিকফিল্ডে নিহত ১১ ও আহত ৬ জন, জাহাজভাঙা/শিপব্রেকিংয়ে নিহত ৭ ও আহত ২৯ জন, চাশ্রমিক নিহত ১ ও আহত ৬ জন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিহত ৩ ও আহত ২ জন।

ওশি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবহন খাতে নিহত হয়েছেন সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিক। ২০২৩ সালে এ খাতে নিহত ৬৩৭ ও আহত ১২৭ জন। ২০২২ সালে এ খাতে নিহত ১০৫ ও আহতের সংখ্যা ছিল ২৯ জন।

প্রতিবেদনে কর্মস্থলে হতাহতের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা স্থাপনা থকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, সহিংসতা, গৃহশ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন, দেয়াল-ভবন-ছাদ ও ভূমিধসের কথা বলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মস্থলে শ্রমিকদের উপযোগী ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা, শিল্প মালিক ও ব্যবস্থাপকদের জন্য জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরপত্তা নীতিমালা-২০১৩ সম্পর্কে ওরিয়েন্টেশন প্রদান করা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ইউনিট চালু করা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পেশাগত রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাকি রিজওয়ানা, কো-ম্যানেজমেন্ট অফিসার নুসরাত জাহানসহ অনেকে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ