ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বড়দিন উপলক্ষে যেসব নির্দেশনা দিলো ডিএমপি

প্রকাশনার সময়: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৩০

আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনকে উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এজন্য প্রত্যেক গীর্জায় স্থায়ীভাবে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি পুলিশি টহল বৃদ্ধিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় ওই নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশনা-

১. প্রতিটি গীর্জায় রাতের ভিডিও ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।

২. প্রতিটি গীর্জার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও আর্মডব্যান্ড নির্ধারণ করে দেওয়া। স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা স্থানীয় থানায় পাঠানো ও থানার অফিসারের উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবকদের ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থা করা।

৩. গীর্জায় দর্শনার্থীদের ব্যাগ বা পোটলা ইত্যাদি নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করা। তাছাড়া গীর্জা এলাকায় সন্দেহজনক কোনও ব্যাগ বা পোটলা পরে থাকতে দেখলে বা দৃষ্টিগোচর হলে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাৎক্ষণিক অবহিত করা।

৪. আর্চওয়ে গেট স্থাপন এবং মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করে তল্লাশির ব্যবস্থা করা।

৫. প্রতিটি গীর্জায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন এবং অগ্নি দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৬. আলোক সজ্জার কাজে গুনগতমান সম্পন্ন বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করা।

৭. আনন্দ উৎসবে মাদকের ব্যবহার, ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি করা থেকে বিরত থাকা।

৮. প্রতিটি গীর্জা ও অনুষ্ঠান এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা এবং বিকল্প আলোর (জেনারেটর) ব্যবস্থা রাখা।

৯. প্রতিটি গীর্জার জন্য পরিদর্শন রেজিস্টার প্রস্তুত এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা।

১০. আবাসিক এলাকায় বাড়ির ছাদ, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে ডিজে পার্টি এবং উচ্চ শব্দে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।

১১. ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা। ব্যক্তিগত পর্যায়ে উৎসব উদযাপনের ক্ষেত্রে প্রতিবেশীর যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকা।

১২. স্থানীয় কাউন্সিলর, গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা এবং তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংবলিত ব্যানার দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।

১৩. কোনও দুর্ঘটনা বা অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা তৈরি হলে, অতি দ্রুত পুলিশকে জানানো এবং জরুরি প্রয়োজনে গীর্জা কমিটিকে থানার ফোকাল পয়েন্ট, অথবা ৯৯৯ নম্বরে সেবাগ্রহণ করা, অথবা মেসেজ টু কমিশনার (এমটুসি) এর জরুরি নম্বর ০১৩২০২০২০২০ ও ০১৩২০১০১০১০-তে এসএমএস করা।

নয়া শতাব্দী/এমবি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ