ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর সুতিভোলা খাল হয়ে সাঁতারকুল দিয়ে আফতাবনগর পর্যন্ত নৌপথ চালু হবে। সেভাবেই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সুতিভোলা খাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, দখল ও দূষণমুক্ত করে হাতিরঝিলের আদলে সূতিভোলা খালকে নান্দনিকভাবে সাজানো হবে। নতুনবাজার একশো ফিট থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী সুতিভোলা খাল হয়ে আফতাবনগর পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হবে। আধুনিকভাবে খালের পাড় বাঁধানো হবে, সবুজায়ন করা হবে। পাড় দিয়ে ওয়াকওয়ে ও সাইকেল লেন নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমি আজ সুতিভোলা খালে নৌকায় চড়েছি। স্থানীয় লোকজন আমাকে জানালো, চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আগে এই ঐতিহ্যবাহী সুতিভোলা খাল দিয়ে নিয়মিত নৌকা চলতো। কারওয়ান বাজার থেকে মালামাল নিয়ে মানুষ এই খাল দিয়ে নৌকায় করে যাতায়াত করতো। আজকে দীর্ঘ সময় পরে আবার আমি এই খালে নৌকায় চড়লাম।

মেয়র আরও বলেন, সাঁতারকুল ব্রিজের নিচ থেকে সুতিভোলা খালে কাউন্সিলরদের নিয়ে নৌকায় চড়ে দেখলাম মানুষ কিভাবে ময়লা ফেলে খালটিকে নোংরা করেছে। খালের পাড়ে ময়লায় ভরপুর। সিটি কর্পোরেশন থেকে ফ্লোটিং এক্সকেভেটর দিয়ে কচুরিপানা পরিষ্কার করা হচ্ছে। দখলে থাকার কারণে আগে যেখানে নৌকা চড়ে যাওয়া যেতো আজ তা পুরোপুরি পারিনি। কারণ একটু আগাতেই দেখি দখল হয়ে গেছে, বাড়ি উঠে গেছে। একটা বাড়ি খালের পাশে উঠে গেল দেখার কেউ নেই! কে অনুমতি দিয়েছে? কীভাবে অনুমতি দিলো সেটা যাচাই করতে সমস্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। আবার খালের ভেতর বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করে মাছ চাষ করছে। এগুলো কারা করছে? এভাবে খাল দখল করে যা খুশি তাই করা যাবে না। খালের সীমানা ছেড়ে মাছ চাষ করেন। জনগণের খাল ব্যবহার করে মাছ চাষ করা যাবে না। অনতিবিলম্বে এগুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিচ্ছি। নিজেরা না সরালে ম্যাজিস্ট্রেট কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সিটি জরিপ নয়, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করা হবে।

একজন সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা খাল নিয়ে মাস্টার প্ল্যান করছি। এডিবি (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) আমাদের খালের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। আজকে এডিবির একজন কনসালটেন্ট আমাদের সাথে পরিদর্শনে এসেছেন। ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে নৌপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সুতিভোলা খালে নৌপথ চালু হবে। এ ছাড়াও মিরপুর রুপনগর খাল হয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত নৌপথ চালু হবে। এক্সপার্টদের সাথে আলাপ করছি কিভাবে সব নৌপথে সংযোগ সৃষ্টি করা যায়। অনেক বাজেট প্রয়োজন। বিভিন্ন সংস্থার সাথে আলাপ করছি। আশা করছি জনগণের সহযোগিতায় দ্রুতই কার্যক্রম চালু করতে পারবো।

নয়াশতাব্দী/একে